রাজাকাররা মাঠে নেমেছে

একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আবার মাঠে নেমেছে। স্বাধীনতাকে অস্থিতিশীল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম ব্যাহত করতে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কর্মকা- এক অশান্ত ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করছে। জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপালে ঈদের দিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিসহ জঙ্গী সেøাগান দিয়ে শিবিরের একটি মিছিল বের হয়।
এরা ছাত্রলীগসহ এলাকাবাসীদের ওপর হামলাও চালিয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীরা এমন ঔদ্ধত্য ও সাহস এই চক্রটি পাচ্ছে কোথা থেকে?
শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি এই প্রথম নয়। এর আগেও তাকে নানা মহল থেকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্মরণ করা যায়, শুধু হুমকি নয় তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে কয়েকবার। বিশেষভাবে উল্লেখ্য করতে হয় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় এক মিছিলপূর্ব সমাবেশে ভয়ঙ্কর হামলা চালানো হয়েছিল। সেবারও শেখ হাসিনা অল্পের জন্য রক্ষা পান।
দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, ঠিক এ মুহূর্তে জামায়াত-শিবির চক্র যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে নস্যাৎ করতে যেন মরিয়া। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই মহলটি সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করছে।
বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। এর কারণ কী? কেউ কেউ মনে করেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভ্যন্তরে স্বাধীনতাবিরোধীদের কিছু সমর্থক এখনও সক্রিয়। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় বহুবার খবর প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.