আজ শাহরিয়ার কবির ও মেজবাহুরের সাক্ষ্য- যুদ্ধাপরাধী বিচার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আজ দুটি ট্রাইব্যুনালে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-১-এ জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করবেন ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান আলহাজ মেজবাহুর


রহমান চৌধুরী। একই ট্রাইব্যুনালে এটিএম আজহারুল ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর আদেশ প্রদান করা হবে। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করবেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির। একই ট্রাইব্যুনালে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ৮ম সাক্ষী নূরজাহান বেগমের অসমাপ্ত জেরা গ্রহণ করা হবে। ২৮ মে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ এনে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মোট ১৬টি ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ১১ ডিসেম্বর নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন। পরে ৯ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। এতে মোট ১৫টি অভিযোগ ছিল। অভিযোগ গঠনকালে বুদ্ধিজীবী হত্যা যোগ হয়েছে। একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়।
১৬ জুলাই নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উপস্থাপন শেষ করে। পরে ২২ জুলাই তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর উপস্থিতিতে ওই দিন ৫১ পৃষ্ঠার সূচনা বক্তব্য পড়েন চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু ও প্রসিকিউটর আলতাফ হোসেন। এরপর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করে আজ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূচনা বক্তব্যে নিজামী সম্পর্কে বলা হয়, তিনি নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হন। ১৯৭১ সালে বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিবৃতি দিয়েছেন, যা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও উস্কানি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মোট ১৬টি ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১৬ জুন ১৯৭১ সালে পাবনা জিলা স্কুলের হেড মাওলানা কছিমউদ্দিন আহম্মেদসহ অন্য দু’জনকে ইছামতি নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশে রাজাকার আসাদের সহায়তায় পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনী ডেমরা ও বাউশগাড়ী গ্রামে প্রায় ৪৫০ নিরীহ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৭১ সালে ২৭ মার্চের পর মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পাকবাহিনী ক্যাম্প তৈরি করে। পরবর্তীতে রাজাকার ও আলবদর বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হবার পর তারাও উক্ত স্থানে ক্যাম্প করে ট্রেনিং ও অপরাধমূলক কার্যক্রম চালায়। মে মাসের প্রথম দিক হতে জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম, নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামীসহ অন্য নেতারা আর্মি ক্যাম্পে যাতায়াত করতেন। ৮ মে ভোরে পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার করমচা গ্রামে হামলা চালিয়ে সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির লোকজন ও পাশের বাড়ির লোকজনকে ধরে এনে মন্দিরের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার আড়পাড়া ও ভূতেরগাড়ি গ্রামের হাফেজ ওমর আলীসহ ১৯ জনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা ধুলাউরা গ্রামে ডা. আব্দুল আউয়ালের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে নিজামী এ খবর পেয়ে পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকার নিয়ে ঐ বাড়ি ঘেরাও করে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ জনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। ৪ মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে ইছামতি নদীর পাড়ে দাঁড় করিয়ে উপর্যুপরি বেয়োনেট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাত্র কয়েকদিন আগে নিজামীর নির্দেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বেড়া থানার বৃশালিকা গ্রাম ঘেরাও করে প্রায় ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা করে। মতিউর রহমান নিজামী ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশে বক্তৃতা দিয়েছেন। একাত্তরের ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের নিখিল পাকিস্তান সভাপতি হিসেবে বলেন, পাকিস্তান আল্লাহর ঘর। আল্লাহ একে বার বার রক্ষা করেছেন। ভবিষ্যতেও রক্ষা করবেন। দুনিয়ার কোন শক্তি পাকিস্তানকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না।
মুজাহিদ ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে আজ। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির তার বিরদ্ধে প্রথম সাক্ষ্য প্রদান করবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুানাল-২-এ এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। ১৯ জুলাই ট্রাইব্যুনালে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষ হয়। ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধে সুনির্দিষ্ট সাতটি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতার বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল-২। পরে এ আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আসামিপক্ষ একটি আবেদন দাখিল করে।
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর মীর ইকবাল হোসেন ২৯ পৃষ্ঠার সূচনা বক্তব্য পাঠ করেন। সূচনা বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। মুজাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, ফরিদপুর ও ঢাকাসহ সারাদেশে সাধারণ মানুষ হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও দেশত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ। মুজাহিদ একক ও দলবদ্ধভাবে সরাসরি জড়িত থেকে নেতৃত্ব দিয়ে কিংবা সহযোগিতা ও নির্দেশদানের মাধ্যমে এসব ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১ নবেম্বর মুজাহিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। গত ২৬ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১০ সালের ২৯ জুন একটি মামলায় মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এক আবেদনে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক দেখানো হয়।
কাদের মোল্লা ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আজ ৮ম সাক্ষী নূরজাহান বেগম তাঁর অসমাপ্ত জেরা প্রদান করবেন।
এর আগে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহম্মেদ খান, শহীদুল হক মামা ও একজন নারী সাক্ষী (নাম প্রকাশ করা হয়নি), কবি কাজী রোজি, খন্দকার আবুল আহসান ও আব্দুল মজিদ পালোয়ান সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষ তাদের জেরা করেন। গত ২৮ মে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ১ নবেম্বর জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ট্রাইব্যুনাল গত ২৮ ডিসেম্বর এসব অভিযোগ আমলে নেয়। একটি মামলায় তাকে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ আগস্ট কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আটক রাখার আদেশ দেয়া হয়।
এটিএম আজহারুল ইসলাম ॥ জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর আজ আদেশ প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ২৩ আগস্ট তার বিরুদ্ধে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সময় না থাকায় ট্রাইব্যুনাল আদেশ প্রদান করতে পারেনি। ২২ আগস্ট প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করার পর ট্রাইব্যুনাল ঐ দিন তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করে ।
২২ আগস্ট এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পরের দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর জেলার সভাপতি ছিলেন। ওই জেলায় আলবদর বাহিনীকে সংগঠিত করতে তার ভূমিকা ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারের আবেদনে প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা জানান, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ঝাডুয়াবিল ও পদ্মপুকুর এলাকায় এম ইসলাম বিএসসিসহ নিরীহ-নিরস্ত্র ১ হাজার ২শ’ মানুষকে হত্যার সঙ্গে এটিএম আজহার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজহারুল ইসলাম বাঙালী নিধনে পাকহানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত রাজাকার-আলবদর বাহিনীর নেতৃস্থানীয়দের অন্যতম। রংপুর জেলার ছাত্রসংঘের সভাপতি ও কারমাইকেল কলেজের ছাত্র থাকার সুবাদে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে একাত্তরের এপ্রিল মাসে কারমাইকেল কলেজে এক অধ্যাপক ও তাঁর স্ত্রীসহ ১১ জনকে ধরে এনে দমদমা ব্রিজের কাছে নিয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই সঙ্গে মার্চের শেষে রংপুরের বিশিষ্ট আইনজীবী এওয়াইএম আলীকে (ছদ্মনাম) অপহরণ করে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে আটক করে রাখে। এ সময় তাঁর ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এপ্রিলের দহিগঞ্জ শ্মশানের কাছে নিয়ে তাকে হাত-পা বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার নিজ এলাকা বদরগঞ্জে হাপিড়ায় ৯ মাসের গর্ভবতী মহিলাসহ মোট ১১ জনকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নিজস্ব ৫০ সিসি মোটরসাইকেলে পাকিস্তানী পতাকা উড়িয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এ ছাড়া জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের নির্দেশে এটিএম আজহার আলী বৃহত্তর রংপুর জেলায় রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনী গড়ে তোলেন।
বর্তমানে যারা গ্রেফতার রয়েছেন তারা হলেন, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, মোঃ কামারুজ্জামান, মীর কাশেম আলী, এটিএম আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়াও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল আলীম। এছাড়া বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.