কালান্তরের কড়চা-শীতলক্ষ্যার তীরে নির্বাচনযুদ্ধ একটি সাধারণ যুদ্ধ নয় by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

সেই মোগল ও নবাবি আমলে শীতলক্ষ্যা নদীর একাধিক যুদ্ধ বাংলার ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। এবার এই একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে শীতলক্ষ্যার তীরে যে নির্বাচনযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না; কিন্তু সামনের অনেক নির্বাচন, এমনকি সাধারণ নির্বাচনেও বিরাট প্রভাব ফেলবে বলে আমার ধারণা। আগামী ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


অধিকাংশ মানুষ মনে করে, নারায়ণগঞ্জ হলো আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। এখানে এই দলের প্রার্থী সহজ বিজয় লাভ করবেন। দেশের মানুষের এই ধারণায় এখন একটু চিড় ধরেছে। এই মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এখন দুজন, শামীম ওসমান এবং ডা. সেলিনা হায়াত আইভি। ফলে সুবিধা পেতে পারেন বিএনপি প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড যদি গোড়াতেই দুজন মনোনয়ন প্রার্থীর একজনকে মনোনয়ন দিয়ে ফেলতেন, তাহলে ল্যাঠা অনেকটা চুকে যেত। একক প্রার্থী পেলে দলের সমর্থক, কর্মী ও সাধারণ ভোটাররাও মনস্থির করে ফেলতে পারতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ যে এখন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পার্টি নয়, বরং দ্বিধাদ্বন্দ্বে জর্জরিত ও বিভক্ত, তা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে দলটির ভূমিকা প্রমাণ করেছে।
আমার সন্দেহ, দলের হাইকমান্ডের গোড়া থেকেই পক্ষপাতিত্ব ছিল একজন প্রার্থীর দিকে। কিন্তু অপর প্রার্থীর জনপ্রিয়তার জোর দেখে তারা পছন্দের প্রার্থীকে সহসা মনোনয়ন দিতে পারেনি। তারা ডিফেন্সিভ খেলা খেলেছে। দলের তিনজন জুনিয়র নেতা গিয়ে একপক্ষকে বলেছেন, তুমি দলের প্রার্থী। আবার একজন সিনিয়র ও জুনিয়র নেতা বলেছেন, না, আমরা কাউকে মনোনয়ন দিইনি।
এটাও মন্দের ভালো ছিল। দলের দুজন প্রার্থীই অমনোনীতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। তাতে কারো জয়-পরাজয়ই দলের জয়-পরাজয় বলে গণ্য হতো না। শামীম ও আইভীর মধ্যে যিনিই জয়ী হবেন, তা আওয়ামী লীগের জয় বলে গণ্য হতো। এই মেয়র নির্বাচনে দুজনের কাউকে মনোনয়ন দিতে না পারা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষমতার প্রমাণ দিত; কিন্তু দলের মুখরক্ষার একটা ব্যবস্থা হতো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ মত পাল্টেছে। তাদের পছন্দের আসল প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের ছাপ ছাড়া নির্বাচিত হতে পারবেন না_সম্ভবত এই ভয়ে তারা হঠাৎ এক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে বসেছে। এই শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্ত দলের সমর্থক, কর্মী ও সাধারণ ভোটদাতাদের মনের বিভ্রান্তি ও সংশয় দূর করতে পারবে কি না আমার সন্দেহ আছে।
এখন ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে যদি শামীম ওসমান পরাজিত হন, তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের পরাজয় বলেই গণ্য হবে। আর সেলিনা হায়াত আইভী যদি জেতেন, তাহলে আওয়ামী লীগ আর দাবি করতে পারবে না, এটা তাদের জয়। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তাঁরা আশা করছেন, আইভী যদি নির্বাচনে জেতেন তাহলেও তাঁরা আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে বলে দাবি করবেন। তা হয়তো তাঁরা করতে পারবেন এবং আইভীও হয়তো তা চাইবেন। কিন্তু এই নির্বাচনে যে প্রার্থীর ভাগ্যেই জয়-পরাজয় ঘটুক, তা দেশের আগামী নির্বাচনগুলোতে, এমনকি সাধারণ নির্বাচনেও অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। সেই প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগের অনুকূলে যাবে, বুক ঠুকে তা বলতে পারছি না।
সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হবে, যদি নারায়ণগঞ্জের এই মেয়র নির্বাচনে যেখানে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীর জয়লাভের ষোল আনা সম্ভাবনা, এখন সেখানে ভোট ভাগ হয়ে গিয়ে অসম্ভব সম্ভব হয়, অর্থাৎ বিএনপির তৈমূর আলম স্বল্প ভোটের ব্যবধানেও জয়ী হন এবং তা যদি হয়, তাহলে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনে, করপোরেশনকে দুই ভাগ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে এবং তার প্রতিক্রিয়া আগামী সাধারণ নির্বাচনেও দেখা যাবে।
চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব কেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচন সম্পর্কে আগে থাকতেই সতর্ক হলো না_এটাই আমার মনের প্রশ্ন। চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না। এটা অনেকটাই সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরীর একনায়কসুলভ দাম্ভিকতা ও একলা চলো নীতির ফল। তবু চট্টগ্রামের মানুষের মনমানসিকতা আগে থেকেই যাচাই করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের উচিত ছিল মহিউদ্দীন চৌধুরী সম্পর্কে সতর্ক হওয়া, তাঁকে খেয়ালখুশিমতো যা খুশি করতে না দেওয়া, বিশেষ করে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন পাওয়ার আগে নিজেকে নিরেট দলীয় প্রার্থী বলে ঘোষণা করতে না দেওয়া। চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচনের সময়ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহসিকতার অভাব লক্ষ করা গেছে।
নারায়ণগঞ্জের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে লক্ষ করা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষপাতিত্ব। এই পক্ষপাতিত্ব ঢেকে রাখার জন্য প্রথমে কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রমাণিত হয়েছে মনোনয়ন প্রার্থীদের একজনকে দলীয় নির্দেশ মেনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে রাজি করাতে পার্টির সাংগঠনিক দুর্বলতা। শেষ পর্যন্ত পক্ষপাতিত্বের জয় হয়েছে। পছন্দের প্রার্থীকেই আওয়ামী লীগ বেছে নিয়েছে। কিন্তু এই বিলম্বিত সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে কি?
আমি আওয়ামী লীগের এক প্রবীণ নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছি, শামীম ও আইভীর মধ্যে আপনারা শেষ পর্যন্ত শামীমকে বেছে নিলেন তার কারণ কী? এ ক্ষেত্রে কী ক্রাইটেরিয়া কাজ করেছে? আওয়ামী লীগের প্রতি আইভীর আনুগত্য শামীমের চাইতে কম নয়। এ ছাড়া আইভী অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তা তিনি কেবল সাবক পৌরপিতা এবং তাঁর পিতা আলী আহমদ চুনকার কন্যা হিসেবে অর্জন করেননি। নিজে দুই-দুইবার নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রধান হিসেবে উন্নয়নমূলক অসংখ্য কাজ করে অর্জন করেছেন। এখন আপনারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে গিয়ে কি জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে উপেক্ষা করলেন না? এটা কি জনগণ পছন্দ করবে?
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, 'আপনার ধারণায় একটু খুঁত আছে। শামীম ওসমানের অসাধারণ সাংগঠনিক শক্তি আছে। সেলিনা হায়াত আইভীর অসাধারণ জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু সাংগঠনিক শক্তি নেই। আর আইভীর যে জনপ্রিয়তার কথা আমরা বলছি, তা কেবল নারায়ণগঞ্জের শহর অঞ্চলে সীমাবদ্ধ। আগে নারায়ণগঞ্জ ছিল মিউনিসিপ্যালিটি। মিউনিসিপ্যালিটির এলাকা ছিল ছোট। ভোটার সংখ্যা লক্ষাধিকের বেশি নয়। আইভী সহজে জিতে গেছেন। এখন নারায়ণগঞ্জ হয়েছে সিটি করপোরেশন। সিদ্ধিরগঞ্জসহ বহু এলাকা তার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভোটার সংখ্যা কয়েক লাখ। এ ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জে শামীমের মতো এমন একজন মেয়র দরকার, যাঁর বিরাট সাংগঠনিক শক্তি আছে এবং যিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে তুলতে পারেন। আইভী মেয়র হলে অনেক ভালো কাজ করবেন, কিন্তু আওয়ামী লীগকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করে তুলতে পারবেন না।
আমি এই নেতার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছি। বলেছি, শামীম ও আইভী কারো প্রতিই আমার ব্যক্তিগত পক্ষপাতিত্ব নেই। যিনি বিএনপি প্রার্থীকে নির্বাচনে পরাজিত করে নির্বাচিত হবেন, তাঁকেই অভিনন্দন জানাব। কিন্তু বৃহত্তর নারায়ণগঞ্জের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে (বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ সমর্থক) আলাপ করে জেনেছি, আইভী শুধু নারায়ণগঞ্জ শহরে নন, তার ক্রমসম্প্রসারিত এলাকাগুলোতে জনপ্রিয়। এ ক্ষেত্রে জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে হাই কমান্ডের পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে তাঁকে ভোটারদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হলে তা পরে আওয়ামী লীগের জন্যই বুমেরাং না হয়।
দ্বিতীয়ত, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করতে হলে এবং শামীম ওসমান একজন দক্ষ সংগঠক হলে তাঁকেই দলীয় নেতৃত্বে বসানো প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনের মেয়রের কর্তব্য দলের ঊধর্ে্ব থেকে দলমত নির্বিশেষে সব নগরবাসীকে সেবা দেওয়া। তার বদলে মেয়রকে দিয়ে দলের কাজ করাতে গেলে দলতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে, গণতন্ত্রকে নয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সাবেক বিএনপি সরকারের আদলে দেশে দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় কি না, এটা দলকেই বিবেচনা করতে হবে।
প্রবীণ নেতা আমার কথায় শেষ পর্যন্ত সায় দিয়েছিলেন। ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে আমি একটা ব্যাপারে অভিনন্দন জানাই। তিনি দলের কাছে উপেক্ষিত হয়েও বিএনপির ফাঁদে পা দেননি। আওয়ামী লীগকে যেনতেন প্রকারে পরাজিত করার লক্ষ্যে বিএনপি নিজেদের প্রার্থীকে উপেক্ষা করে আইভীকে সমর্থন জানিয়ে এক নতুন খেলা খেলতে চেয়েছিল। আইভী দৃঢ়তার সঙ্গে তাদের খেলায় যোগ দিতে রাজি হননি। এই চারিত্রিক দৃঢ়তা ছিল তাঁর বাবা আলী আহমদ চুনকার। ১৯৭৪ সালে নারায়ণগঞ্জের মিউনিসিপ্যাল চেয়ারম্যান পদে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে আরেক প্রার্থীকে দিয়েছিলেন। চুনকা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।
জয়ী হয়েই আলী আহমদ চুনকা প্রথম যে কাজটি করেছিলেন, তা হলো, জয়ের মালা গলাতেই বঙ্গবন্ধুর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর আনুগত্য জানাতে। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, 'আমি জানতাম, তুমি জিতবে। আমার দোয়া ছিল, তোমার জন্য।' এই একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যদি ঘটে নারায়ণগঞ্জের বর্তমান মেয়র নির্বাচনে, তাহলে বিস্মিত হব না।
আগেই বলেছি, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এবারের নির্বাচনযুদ্ধ কোনো সাধারণ যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধের ফলাফল প্রভাব ফেলবে এবং প্রতিক্রিয়া ঘটাবে আগামী যেকোনো নির্বাচন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, এখন কি আগামী সাধারণ নির্বাচনের ওপরও। প্রথমত, শামীম ওসমান যদি নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে দলীয় কাজ নয়, করপোরেশনকে দলের আখড়ায় পরিণত করা নয়, সব নগরবাসীর সেবা ও উন্নয়নের কাজকে অগ্রাধিকার দেবেন_এই অঙ্গীকার ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে পরে ভোটারদের অনিচ্ছার সমর্থন সক্রিয় ইচ্ছার বিরোধিতায় পরিণত হতে পারে; যা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন সাফল্যের সহায়ক হবে না।
দ্বিতীয়ত, যদি সেলিনা হায়াত আইভী জেতেন তাহলে আওয়ামী লীগ হাই কমান্ডকে সর্বাগ্রে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা দিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, পরাজিত প্রার্থী বা তাঁর সমর্থকরা যেন শান্তভাবে পরাজয় মেনে নেন এবং জয়ী প্রার্থীকে সহযোগিতা দানে বিলম্ব না করেন। এই জয়-পরাজয় যদি আওয়ামী লীগের মধ্যে আরো বিভেদ ও বিভ্রান্তি বাড়ায় তা হবে আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে আরো অকল্যাণকর। এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হবেন এমন সম্ভাবনা আমি দেখি না। আওয়ামী লীগে বিভক্তি ও বিভ্রান্তির সুযোগে তিনি যদি জেতেন, তাহলে তা হবে আওয়ামী লীগের জন্য এক বিরাট অশনি সংকেত।
এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের জন্য এক বিরাট অগি্নপরীক্ষা। এই নির্বাচনে কোনো ধরনের অসাধুতার অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন উভয়েই ক্রেডিবিলিটি হারাবে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া অনুষ্ঠানের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা ভেস্তে যাবে। তখন কেবল বিএনপি নয়, সাধারণ মানুষই দাবি জানাবে আগামী নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে হোক।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখার কথা। সরকার যেন এই সিদ্ধান্তটি কোনো কারণেই প্রত্যাহার না করে এবং প্রমাণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়াই এ দেশে সব পর্যায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। এটা প্রমাণ করার সর্বোত্তম সুযোগ শীতলক্ষ্যায় নির্বাচনযুদ্ধ এনে দিয়েছে। সরকার যেন এ সুযোগ হেলায় না হারায়।

লন্ডন, ২৪ অক্টোবর, সোমবার, ২০১১

No comments

Powered by Blogger.