মন্ত্রিত্ব নিতে প্রস্তুত সু চি!

সন্ন উপনির্বাচনে জয়লাভ করলে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সরকারে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হলে তা নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি। সু চি বলেন, আমি দায়িত্ব নেব কি-না তা নির্ভর করবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর এবং কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তার ওপর। যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়_ এমন প্রশ্নের জবাবে সু চি সহাস্যে বলেন, আমাকে এটা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে।


গতকাল রোববার ইয়াঙ্গুনে সাংবাদিকদের সঙ্গে সু চি এসব কথা বলেন। গতকালই তিনি ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালান জুপের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গেও ফোনালাপ করেছেন সু চি। খবর এএফপি, বিবিসি অনলাইন।
সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর মিয়ানমার সরকারের সাম্প্রতিক সংস্কার কার্যক্রমের প্রশংসা করেন ফরাসি মন্ত্রী জুপে। তিনি বলেন, এসব সংস্কারের জন্য মিয়ানমারকে পুরস্কৃত করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেনা শাসনের পর মিয়ানমারে এটাই কোনো উচ্চপর্যায়ের ফরাসি মন্ত্রীর প্রথম ইয়াঙ্গুন সফর। জুপে বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সরকারের ইতিবাচক সংস্কার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মিয়ানমারের আরোপিত অবরোধ তুলে নেবে কি-না, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি জুপে। অন্যদিকে বৈঠকের পর সু চি বলেন, আমি আশা করছি, নতুন এই সংস্কার কার্যক্রম একটি গণতান্ত্রিক মিয়ানমার গড়তে সহায়তা করবে। গতকাল রাতে ফরাসি মন্ত্রী মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ সু চিকে ফ্রান্সের অন্যতম সর্বোচ্চ পদক 'ন্যাশনাল অর্ডার অব দ্য লিজিয়ন দ্য অনার' প্রদান করার কথা জানান। সোমবার মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে জুপের। এদিকে গত শনিবার সু চি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিরারি ক্লিনটনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। এদিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মাউং লউইনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন হিলারি। মিয়ানমারের সংস্কার কর্মসূচির ব্যাপারে দেশটির সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। উল্লেখ্য, আগামী ১ এপ্রিল মিয়ানমারের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৪৮ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে সু চির দল। সু চি নিজেও নির্বাচনে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। জয়লাভ করলে এনএলডি মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকটি আসন পেতে পারে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভাবা হচ্ছে, নির্বাচনে জিতলে মিয়ানমার সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন সু চি।

No comments

Powered by Blogger.