সিলেটে সেমিনার-দেশে ৯ বছরে মাতৃমৃত্যু কমেছে ৪০ ভাগ

বাংলাদেশে গত ৯ বছরে মাতৃমৃত্যু ৪০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। ২০০১ সালে প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মগ্রহণ করা শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ৩২২ জন, যা ২০১০ সালে ১৯৪ জনে নেমে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০১৫ সালে এমডিজি ৫ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মাতৃমৃত্যুর হার ১৪৩ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ ২০১০ সিলেট বিভাগীয় অবহিতকরণ সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো


হয়। গতকাল বুধবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এ এম এম আনিসুল আউয়াল এতে সভাপতিত্ব করেন। পরিসংখ্যানবিদ শাহীনা আলমের পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আফরোজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ বিলাল, সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও পরিবার পরিকল্পনা সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. কুতুব উদ্দিন।
সেমিনারে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ ২০১০-এর ফল উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. আহমদ আল-সাবির। পরে এ প্রতিবেদনের ওপর মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা অংশ নেন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এ ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে ইউএসএইড, অসএইড ও ইউএনএফপিএর আর্থিক সহায়তায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে আশঙ্কাজনক হারে সিজারিয়ান অপারেশন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০১ সালে প্রায় ৯০ হাজার সিজারিয়ান অপারেশন হতো, যা ২০১০ সালে প্রায় চার লাখ ৩৫ হাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে মাতৃস্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রজনন হার হ্রাস ও নারী শিক্ষার উন্নয়ন মাতৃমৃত্যু হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে এখনো দেশে বছরে প্রায় সাত হাজার ৩০০ মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে রক্তক্ষরণ, রক্তশূন্যতা ও বিলম্বিত প্রসবকে চিহ্নিত করা হয়।
সেমিনারে আরো বলা হয়, সিলেট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনায় অনেকটা পিছিয়ে ছিল। বর্তমানে আগের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে গেছে। বর্তমানে সিলেটে বাল্যবিবাহ কম হলেও সন্তান গ্রহণের প্রবণতা বেশি।

No comments

Powered by Blogger.