রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের ২৩ দফা বাস্তবায়নের দাবি

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২৩ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। গতকাল বুধবার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী।রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের ২৩ দফার মধ্যে রয়েছে_ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত ও মরুকরণ-প্রক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষার মাধ্যমে কৃষি ও কৃষককে বাঁচানোর স্বার্থে 'উত্তর
রাজশাহী সেচ প্রকল্প' বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজকে শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা, ফারাক্কার ৩০ বছর চুক্তির পানি সংরক্ষণের জন্য গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ করা, রাজশাহী অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এবং নৌযোগাযোগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পদ্মা নদীকে ড্রেজিংয়ের ঘোষণা দেওয়া, উত্তরাঞ্চলের খাদ্যশস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন রক্ষা করতে কৃষি ইপিজেড স্থাপন করা, রাজশাহীকে শিক্ষানগরী হিসেবে পূর্ণতার জন্য রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, সরকারি উদ্যোগে রাজশাহী বিমানবন্দরকে আরো গতিশীল করা, গৃহস্থালির পাশাপাশি রাজশাহীতে শিল্প সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহ করা, রাজশাহীকে আরো একটি নতুন শিল্পনগরী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া, রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গভাবে টিভি স্টুডিও (ঘোষিত) অবিলম্বে চালু করা, রাজশাহী জেলার বাঘা-চারঘাট-রাজশাহী শহররক্ষা বাঁধ, গোদাগাড়ী উপজেলাসহ পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণকাজ সমাপ্ত করার ঘোষণা দেওয়া, রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সেরিকালচার কারখানা, রাজশাহী টেঙ্টাইলসহ সব বন্ধ কলকারখানা আবার আধুনিকীকরণ করে চালু করা, রাজশাহী থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম পর্যন্ত আরো দুটি ট্রেন চালু করা, রাজশাহীকে সরকারিভাবে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানগরী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া, রাজশাহীর সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় শিফট চালু করা, রাজশাহীতে মহিলা ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, রাজশাহীকে ক্রিকেট টেস্ট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা দেওয়া, বিভাগীয় শহর হিসেবে রাজশাহীতে হাইকোর্ট স্থাপন করা, রাজশাহীতে ভেঙে পড়া চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন ও রাজশাহী হাসপাতালকে আধুনিকীকরণ করা, রাজশাহীতে পৃথকভাবে শিশু হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতাল বাস্তবায়ন করা, রাজশাহী ডেন্টাল ইউনিটকে ডেন্টাল মেডিক্যাল কলেজ ঘোষণা করা, রাজশাহীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় অফিস স্থাপন করা এবং পানি নিষ্কাশন নামে 'বিল হালতি উন্নয়ন প্রকল্পসহ চলনবিল এলাকার সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা' প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেওয়া।
সভায় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, উপদেষ্টা ও ভাষাসৈনিক মোশারফ হোসেন আখুঞ্জী, সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান ও আলহাজ হারুন-অর-রশীদ, সংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ প্রমাণিক দেবু, পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া হাসান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, হড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, কল্পনা রায়, রিয়াজ আহম্মেদ খান, অ্যাডভোকেট অংকুর সেন, সাইদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.