দেশ আজ খাদে পড়েছে by রাহাত খান

দেশ যে খাদে পড়েছে তা থেকে উদ্ধারের উপায় কি? মর্মাহত বিবেকের এই প্রশ্ন জনৈক এনজিও কর্মকর্তার। তিনি টিআইবির সঙ্গে যুক্ত। যতদূর জানি ঐ ভদ্রলোক বহুকাল বিদেশে কাটিয়ে হঠাৎ নব্বই দশকে দেশে ফিরে রাজনীতিসহ নানা কর্ম তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।
অধুনা দেশের হাল-চাল দেখে ভারি বেসামাল। তা রাজনৈতিক তৎপরতায় লিপ্ত হতে কোন এনজিও কর্মকর্তার সাংবিধানিক বা নৈতিক বাধা তো কিছু নেই। তাই তাঁর রাজনৈতিক কর্মকা-ের ওপর কোন কথা বলা চলে না। সে চেষ্টাও বর্তমান নিবন্ধকার করতে চায় না। তবে তাঁর এই প্রশ্ন শুনে একটু অবাক হয়েই ভাবতে হয় দেশ কি এমন খাদে পড়েছে যে, তা থেকে উদ্ধার পাওয়ার উপায় খুঁজছেন তিনি?
হ্যাঁ, দেশে ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত প্রাপ্তির পর নতুন শাসক জেনারেল জিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশের যে পাকিস্তানীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং বিএনপির পরবর্তী দুই শাসনামলে যে প্রক্রিয়া প্রায় একটি পরিণতি লাভ করতে যাচ্ছিল, সেটা বর্তমানে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছে বটে! জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের যাতে বিচার না হয় সেই উদ্দেশ্যে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম ‘ইনডেমনিটি’ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছিলেন। এরপর জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে করা দালাল আইন এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকরণ আইন বাতিল করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় এবং আদর্শসমূহ বানচাল করা। বাংলাদেশের ঘাতক বাহিনী রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের দল জামায়াতসহ অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের নতুন জীবন দান এবং তাদের সসম্মানে রাজনীতিতে ও সমাজে পুনর্বাসিত করা। এই দেশবিরোধী কাজে তিনি সহায়তা পেয়েছেন পাকিস্তান ফেরত ‘বাঙালী’ সশস্ত্র বাহিনীর কতিপয় অকৃতজ্ঞ জেনারেলদের। অকৃতজ্ঞ বললাম, কারণ পাকিস্তানে আটক বাঙালী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিলাভের জন্য বঙ্গবন্ধু নানা কূটনৈতিক তৎপরতার আশ্রয় নিয়েছিলেন। সাফল্যও পেয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান ফেরত সশস্ত্র বাহিনীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করাটা ছিল একটা গুরুতর ভুল সিদ্ধান্ত। পাকিস্তান ফেরত মূল কমান্ড সব সময় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিএনপি ও জামায়াতকে সহায়তা দিয়েছে। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে বিএনপি জামায়াতের পক্ষে বরাবরই তাঁর ছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান। পাকিস্তান ফেরত সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকও ছিলেন। তবে তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন কম। জেনারেল জিয়া ও এরশাদের আমলে এদের নানা কায়দায়, নানা উছিলায় হয় চাকরি থেকে পদচ্যুত করা হয় নতুবা নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে তাঁদের অনেককে শেষ করে দেয়া হয়।
বাংলাদেশের পূর্বাপর রাজনীতির সত্য ইতিহাস যাঁরা লিখবেন, আমি মনে করি, জিয়াউর রহমানের পাকিস্তানীকরণ এবং পাকিস্তানফেরত সশস্ত্র বাহিনীর (ব্যতিক্রম বাদে) স্বদেশের প্রতি, বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের ঘৃণ্য বিরোধিতা এবং বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ বিষয়টিরও উল্লেখ করতে হবে।
মনে হতে পারে, নিবন্ধের শুরুতে যে বিষয়ের অবতারণা করেছিলাম, তা থেকে বুঝি বা বহুদূরে সরে গেছি ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার মতো। তবে এই মনে হওয়াটা ঠিক নয়। আমি আলোচনার সঠিক ট্র্যাকেই আছি। ২০১৩ সালে এসে যাঁরা মনে করেন, দেশ খাদে পড়েছে, তাঁদের চাল-চরিত এবং আমলনামা তুলে ধরতে বিএনপি জামায়াতের বাংলাদেশবিরোধী কর্মকা-ের পরিপ্রেক্ষিত খানিকটা উল্লেখ করতেই হয়। কেননা, বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনীতিক ও সামাজিক উন্নয়নের যে গতিধারায় রয়েছে তাতে তো বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির ব্যর্থতাই উঠে আসে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানীকরণের প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের স্পৃহা সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রায় সবক্ষেত্রে ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে চলেছে। নৈরাজ্যবাদী ও বাংলাদেশবিরোধী দল ও গোষ্ঠীর জন্য সেটা তো দেশ যে খাদে পড়েছে এই দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগেরই পরিচায়ক।
প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাম্প্রতিক সমীক্ষা-প্রতিবেদনে গত চার বছরে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের গতিপ্রবাহকে বিস্ময়কর বলা হয়েছে। বলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী বিরাজমান এমন মহামন্দা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এত মতদ্বৈধতা, নৈরাজ্য ও সহিংসতা, এরপরও বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি ৬.৫ ভাগে রাখতে পারা নিশ্চয়ই বড় মাপের সাফল্য। খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, যুগোপযোগী শিক্ষার প্রচলন ও শিক্ষার মান উন্নীত করা এবং শিক্ষা-ধারায় শিক্ষার্থীদের এক বড় অংশের ঝরে পড়ার বিরূপ পরিস্থিতিকে পাল্টে দেয়া এ সবই সাফল্যের গল্প। জোর জবরদস্তি নয়, শুধুমাত্র মোটিভেশনের মাধ্যমে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঠেকানো এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে পারাও নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ব্যাপার। ২০০১-২০০৬ শাসনামলে বিএনপি জামায়াত জোট দেশটাকে হত্যা, গুম, বোমাবাজি, গ্রেনেডবাজি, জঙ্গী-সন্ত্রাসী প্রতিপালনের ‘স্বর্গে’ পরিণত করেছিল। বাংলাদেশকে পাকিস্তানী কায়দায় প্রায় সন্ত্রাসের রাজধানীতে পরিণত করে ফেলেছিল। বর্তমান মহাজোট সরকার জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমনে প্রায় ৯০ ভাগ সাফল্য অর্জন করেছে; এটাও তো বর্তমান সরকারের কম বড় অর্জন নয়।
এরপরও ‘দেশ যে খাদে পড়েছে’ এই উদ্ভট দুশ্চিন্তা করতে পারে তারাই যারা বাংলাদেশের উন্নয়নে খুশী নয়। তারা আওয়ামী লীগবিরোধী তো বটেই। তাতে অবশ্য বলার কিছু নেই। স্বাধীন দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী ও ব্যক্তির নিজেদের আলাদা রাজনৈতিক অবস্থান থাকতেই পারে। সেখানে আওয়ামী লীগবিরোধী হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু দেশ বা স্বাধীনতাবিরোধী হলে অবশ্যই তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে না। বর্তমান আমলে প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার, সমুদ্র জয় কিংবা গোটা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের কর্মতৎপরতাও বাংলাদেশের খাদে পড়া অবস্থা বুঝায় না বুঝায় অভাবিত পূর্ব সাফল্য।
বর্তমান মহাজোট সরকারের সাফল্যের তালিকা আরও দীর্ঘ। ব্যর্থতাও আছে। তবে তুলনামূলক বিচারে গত ৪১ বছরের মধ্যে বর্তমান মহাজোট সরকারকেই সফল সরকারের তালিকায় শীর্ষে স্থান দিতে হয়। দেশ যে খাদে পড়েছে এ রকম খেদোক্তি করার কোনই কারণ নেই। তবে হ্যাঁ, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশ এখন একটা সঙ্কটের মধ্যে আছে বটে কোন সন্দেহ নেই। তবে অনেকের মতো আমিও বিশ্বাস করি, কোন না কোন সূত্রের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ রাজনীতির প্রধান দুই পক্ষ-প্রতিপক্ষ শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় পৌঁছতে সমর্থ হবে। যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আবার ‘উদীয়মান’ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না, যারা চায় না উপমহাদেশে অস্থিতি ও নৈরাজ্যের কোন বিস্তার; বাংলাদেশের পক্ষ-প্রতিপক্ষ উভয় রাজনৈতিক জোটের কাছে গ্রহণযোগ্য, সেইসব মিত্র ও বন্ধু রাষ্ট্র এই ব্যাপারে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবশ্যই নিতে পারে। নেয়াও উচিত; কারণ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সন্ধিমূলে থাকা বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক অবস্থান এতই মূল্যবান যে, বাংলাদেশ কোন কারণে ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার পথে ধাবমান হোক কিংবা আগের মতো অনটন ও দুর্ভিক্ষের কিংবা রাজনৈতিক অস্থিতি ও নৈরাজ্যের দেশে পরিণত হোক, বিশ্বের দুই একটি ব্যর্থ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ছাড়া বাংলাদেশের মিত্র ও বন্ধু দেশগুলোর সেটা কাম্য হতে পারে না। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ধারায় দেখতেই তারা ইচ্ছুক। কোন দেশে অ-রাজনৈতিক। তৃতীয় শক্তির উত্থান কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক তা বিলক্ষণ জানা আছে তাদের।
দেশ কোন খাদে পড়েনি। উন্নয়নের সঠিক ট্র্যাকেই আছে। সুশাসনের বড় ধরনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। বর্তমান সরকারের কয়েকটি ব্যর্থতার কথা বলা হয়। যেমন শেয়ারবাজারে ধস। যেমন হলমার্ক ও ডেসটিনির অর্থ কেলেঙ্কারি। ইলিয়াস আলীর গুম হয়ে যাওয়ার রহস্য অধ্যাবধি রহস্যই থেকে যাওয়া। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর নৃশংস হত্যাকা-ের আসামিদের এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করতে না পারা। পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি, ইত্যাদি।
ব্যর্থতার একটা ভাগ নেই বিশ্বে এমন সফল সরকার পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি। কোনদিন দেখবেও না। তবে ব্যর্থতাকে ব্যর্থতাই বলতে হয়, এর পক্ষে সাফাই গাওয়ার কোন যথার্থতা নেই। শুধু যা করা যায় তা হচ্ছে অতীত সরকারসমূহের সাথে যে কোনো সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতার পরিমাপ করে দেখা। এই বিচারে বর্তমান সরকারকে সফল সরকার হিসেবেই গণ্য করতে হয় কিছু কিছু ব্যর্থতাসহ। দেশ খাদে পড়েছে এমন কথা বলতে বা লিখতে পারে শুধু তারাই যারা হতাশায় ভুগছে। যারা বাংলাদেশে নির্বাচনগত রাজনৈতিক সঙ্কটকেই বড় করে দেখে। রাজনৈতিক সঙ্কট রাজনীতির প্রশ্নে কখনও কখনও অস্বাভাবিক নয়। সঙ্কট দেখা দিতে পারে। দুই পক্ষের রাজনীতিকদেরই সেটা স্বীকার করে নেয়া উচিত সত্যের খাতিরে। তবে তেমন সঙ্কট সুরাহার ভার বর্তায় দুই পক্ষেরই রাজনীতিকদের ওপর।
বিএনপি-জামায়াত জোট সংসদে যায় না। কারণ সংসদে গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগের সদস্যরা নাকি বিরোধী দলের সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে। এই ধরনের খোঁড়া অজুহাত তুলে সংসদে না যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। সংসদে নানা ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। দুর্ব্যবহারের দৃষ্টান্ত তো বরং বর্তমান বিরোধী দলই স্থাপন করেছে। ‘জিহ্বা কেটে ফেলা হবে’ স্পীকারকে ‘মাইক দে হারামজাদা’ এসব অশালীন, কুৎসিত এবং অসংসদীয় আচরণ তো বিরোধী দলই করেছে।
তবে এরপরও বিরোধী দল সংসদে গেছে। সংসদে শুধু আসন-সংখ্যা ধরে রাখার জন্য কয়েক ঘণ্টা বা দু’চারদিন যাওয়া সত্যিকার অর্থে সংসদে যাওয়া বুঝায় না। সংসদে নিয়মিত যোগ দিয়ে বিরোধী দল দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারত। এই জায়গাটায় বিরোধী দল যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তা স্বীকার না করে উপায় নেই। জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নেও কার্যকর ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে বহুদূরে তাদের অবস্থান। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের কাজ শুধু সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতাবাজি বা চাপাবাজি করা নয়। স্বীকার করে নিতে হয়, বর্তমান আমলে সংসদীয় বিরোধী দলের উদ্দিষ্ট ভূমিকা পালনে তারা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
বিরোধী দল আন্দোলনের নামে হালে যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তা খুবই ন্যাক্কারজনক। একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, ইত্যাকার ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের যারা ভাগীদার, সেই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সাথে মিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিঘিœত করার হীনপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বিএনপির রাজনীতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের রাজনীতির সাথে। কোন রাখ-ডাক নেই, বিএনপি জামায়াত এখন প্রকাশ্যেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে।
অর্থাৎ দেশে রাজনীতি এখন আদর্শগতভাবে দুই ভাগে বিভক্ত এই বিভক্তি স্বাধীনতার পক্ষে এবং স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষের মধ্যে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগণ বিশেষ করে দেশের জাগ্রত সমাজ নিশ্চয়ই স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষে তাদের রায় দেবে না। এজন্যই হয় তো বা নির্বাচনের বাইরে তারা অন্য কোন বিকল্পের সন্ধানে আছে। দেশ নয়, খাদে পড়েছে বিরোধী দলের রাজনীতি। এটাই দেশের বর্তমান বাস্তবতায় ধরা পড়ে।

No comments

Powered by Blogger.