উপাচার্যের পক্ষে এবার মাঠে জেলা আ.লীগ ও ছাত্রলীগ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ আবদুল জলিল মিয়ার পক্ষে এবার মাঠে নেমেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের একাংশ। দুই পক্ষের লোকজন গতকাল সোমবার রংপুর শহরের চারটি স্থানে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ গত বৃহস্পতিবার উপাচার্যের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় মাইকের ব্যাটারির অ্যাসিড ছিটকে দুই শিক্ষকের চোখ দগ্ধ হয়।
গতকাল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ষড়যন্ত্রকারী উল্লেখ করে হুঁশিয়ার করে দিয়ে চোখ অ্যাসিডদগ্ধ করা মামলার আসামি ছাত্রলীগের তিন কর্মীর মুক্তির দাবি জানান।
১১টা থেকে শুরু: রংপুর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অংশের নেতা-কর্মীরা বেলা ১১টার দিকে শহরের কাচারী বাজারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, প্রবীণ আইনজীবী আবদুল গণি, গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান প্রামাণিক, জেলা যুবলীগের সভাপতি ওয়াসীমুল বারী, সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীন চন্দ্র প্রমুখ। বক্তারা বলেন, স্বার্থান্বেষী কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ফুসলিয়ে এ আন্দোলন করছেন।
বেলা ১১টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা হামলায় আহত দুই শিক্ষককে জামায়াতপন্থী আখ্যা দিয়ে তাঁদের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। একই সময় মডার্ন মোড়ে ‘সচেতন ছাত্র-ছাত্রী’র ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। তবে এতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদেরই বেশি দেখা গেছে।
বেলা একটার দিকে তিনটি স্থান থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কাচারী বাজারে সমাবেশের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করেন। এ সময় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা উল্লেখ করে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।

No comments

Powered by Blogger.