বাংলা ভাষা নিয়ে নিজামী বয়ান

এবার বাংলা ভাষা ব্যবহারে বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বুদ্ধিজীবীদের নির্দেশনা দিয়েছেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। নিজামীর দাবি, 'বাংলা ভাষার জন্য আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছিকলকাতা তা করেনি।
কিন্তু আমাদের বুদ্ধিজীবীরা ভাষা প্রয়োগে কলকাতাকে অনুকরণ করেন। এই অন্ধ অনুকরণ বন্ধ করতে হবে। শনিবার রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজামী এসব কথা বলেন। আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলৰে আয়োজিত এই আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। এছাড়া দলের ঢাকা মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের আমির বলেন, বাংলা ভাষার রাজধানী কলকাতা নয়, ঢাকা। বাংলা ভাষার জন্য আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছি, এই ভাষাকে আমরা যে মর্যাদার আসনে বসিয়েছি; কলকাতার লোকেরা তা করেনি। একটি মহল আমাদের ওপর কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের অন্ধ অনুকরণের ধারা চাপিয়ে দিতে চায়। এই অসুস্থ সংস্কৃতি থেকে বাংলা ভাষাকে রৰা করতে হবে। কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের অন্ধ অনুকরণে আমাদের কবি, সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের কাছে কাম্য নয়।
জামায়াতের বিদ্রোহীদের আবার মেল
রাবির বর্বরতার জন্য জামায়াত নেতা মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম খান, নুরম্নল ইসলাম বুলবুল এবং শিবির সভাপতি রেজাউল করিম-ই দায়ী। এদের গ্রেফতার করে ঘটনার রাতে তাদের মোবাইলের কল লিস্ট পরীৰা করলেই সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
শনিবার রাতে বিভিন্ন পত্রিকার কয়েক সাংবাদিকের কাছে মেল পাঠিয়ে জামায়াত-শিবিরের কয়েক নেতাকে গ্রেফতারের এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে 'সেভ শিবিরের' ব্যানারে আন্দোলনরত শিবিরের বিদ্রোহীরা। এর আগে এক সপ্তাহ আগে বিদ্রোহীরা মেল পাঠিয়ে জানিয়েছিল মুজাহিদের নেয়া সিদ্ধানত্ম বাসত্মবায়ন করতেই রফিকুল ইসলাম খান, নুরম্নল ইসলাম বুলবুল ও রেজাউল করিম পস্নান করে রাবির হত্যাকা- ঘটিয়েছে। এই তিনজনই এক সময় রাবি শিবিরের সভাপতি ছিলেন। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করে এই ব্যক্তিদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করম্নন। আর ঘটনার দিন তাদের মোবাইল নম্বর থেকে কোথায় কোথায় ফোন করা হয়েছে তা খুঁজে দেখলেই সব কিছু জানা যাবে। শনিবারের মেলে জামায়াত ও শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিদ্রোহীরা বলেছেন শিবিরকে সঙ্কটে ফেলেছে মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম খান, নুরম্নল ইসলাম, রেজাউল করিম। বহিষ্কার করম্নন। আরও বলা হয় আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম খান, নুরম্নল ইসলাম বুলবুল দুর্নীতিবাজ। শিবিরের বর্তমান দুর্নীতিবাজ সভাপতি রেজাউল করিম এদেরই লোক। রেজাউল করিম বিবাহিত হয়েও পরিচয় গোপন করে পদে এসেছেন। সংগঠনের অর্থ লোপাটকারী সভাপতি রেজাউল করিম, মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম খান, নুরম্নল ইসলাম খানের হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমরা এদের পদত্যাগ চাই। এদের গ্রেফতার চাই। মেলে বিদ্রোহীরা বলেছেন প্রকাশ্যে আন্দোলন করতে না পারলেও সারাদেশের শিবিরের হাজার হাজার সমর্থক, কর্মী, সাথী, সদস্য আমাদের সঙ্গে আছেন।

No comments

Powered by Blogger.