ধরেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল মালালার হামলাকারীকে

মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর হামলায় জড়িত দুজনের মধ্যে একজনকে ২০০৯ সালে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী আটক করেছিল। তবে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তিন মাস পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার নাম আতাউল্লাহ, বয়স ত্রিশের কোঠায়।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রয়টার্স এ কথা জানায়। ব্রিটেনের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মালালার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নারীশিক্ষার পক্ষে সরব এবং তালেবানের বিরোধিতার কারণে গত ৯ অক্টোবর জঙ্গিরা ১৪ বছরের কিশোরী মালালাকে গুলি করে। মালালার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন কয়েক ডজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) অন্যতম কমান্ডার মৌলানা ফাজলুল্লাহর নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৯ সালে গোলযোগপূর্ণ সোয়াত উপত্যকায় তালেবানবিরোধী অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী আতাউল্লাহকে আটক করে। তবে প্রমাণের অভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আতাউল্লাহকে যখন আটক করা হয়েছিল তখন সে কট্টর তালেবান মিলিশিয়া ছিল না। জঙ্গিদের প্রতি তার সহানুভূতি ছিল মাত্র। তবে এ ঘটনার পর থেকেই আতাউল্লাহ পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আতাউল্লাহ আফগানিস্তানে পালিয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে তাকে খুঁজে এনে বিচারের সম্মুখীন করা কঠিন হয়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ জন্য বিকল্প উপায়ের কথা ভাবছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
দুই কর্মকর্তার একজন জানিয়েছেন, সোয়াতে আতাউল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করার জন্য তার মা ও দুই ভাইকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আতাউল্লাহর আরো দুই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কেও আটক করা হয়েছে। সোয়াত থেকে পালানোর পর ওই আত্মীয়ের বাসাতেই সে রাতে আশ্রয় নিয়েছিল বলে শোনা গেছে। সূত্র : ডন।

No comments

Powered by Blogger.