ফটিকছড়িতে পাকা আমন কাটতে ব্যস্ত কৃষক ভারতীয় বীজে প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে ফলন by ইকবাল হোসেন মঞ্জু,

ভারতীয় বীজে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফলন পেয়েছেন ফটিকছড়ির কৃষকরা। পাকা আমন ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।কৃষকরা জানান, এবার তারা ভারত থেকে আসা নতুন ধানের বীজ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করেন। 'দিনাজপুরী পাইজাম' নামে নতুন এ জাতটি তাদের জন্য খুলে দিয়েছে ধান উৎপাদনে উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বার। এ জাতের ধান দিয়ে তারা প্রতি একরে সাড়ে ৪ টন পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন, যা তাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।


এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, 'এ জাতটি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টটিউটের নয়। ভারতীয় এ বীজটি কৃষকরা স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করেছেন। এ ধানের ফলন যেমন বেশি, তেমনি চালের মানও খুব ভালো।' তিনি জানান, দেশীয় জাতের মধ্যে এবার বিআর ১১-এর ভালো ফলন হয়েছে। এক একরে ৪ টনের বেশি ফলন হলে আমরা তাকে ভালো ফলন হিসেবে আখ্যা দিই। এখন পর্যন্ত উপজেলার যে ৩০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে তাতে ফলন চার টনের উপরে। এর সঙ্গে দিনাজপুরী পাইজাম যুক্ত হলে ফলনের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২০টি ইউনিয়নেই কম-বেশি আমন চাষ হয়েছে। সব মিলিয়ে এ বছর ২২ হাজার ৫শ' হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে, যা উপজেলার মোট আবাদি জমির প্রায় ৭০ ভাগ।
সরেজমিন উপজেলার ধুরুং, কাঞ্চননগর, পাইন্দং, দৌলতপুর, নানুপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি ধানে ছেয়ে আছে মাঠের পর মাঠ। বাম্পার ফলন পাওয়ায় কৃষকের মুখে এখন সোনালি হাসি। বিভিন্ন বিলের কৃষকরা বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সোনালি আমন ঘরে তুলতে। হারুয়াছড়ির মাস্টারবাড়ির কৃষক মোঃ সোহেল এবার দিনাজপুরী পাইজামের চাষ করে আশাতীত ফলন পেয়েছেন বলে সমকালকে জানান।

No comments

Powered by Blogger.