তাহাদের 'সামাজিক' ভক্ত by ইকবাল হোসেন

পোল্যান্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৮১ লাখ। রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভক্তের সংখ্যা পোল্যান্ডের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি, প্রায় ৪ কোটি। রোনালদোর ভক্তের সবই সামাজিক ওয়েবসাইট ফেসবুক (৩ কোটি ৫০ লাখ), টুইটারে (৫০ লাখ)। এত ভক্ত যার তিনি এ নিয়ে গর্ব করতে পারতেন কিংবা দম্ভোক্তি করতে পারতেন। কিন্তু রোনালদো অকপটে জানিয়ে দিলেন, 'ফুটবলারদের মধ্যে সামাজিক ওয়েবসাইটে আমি নিজেকে 'রাজা'


(কিং অব সোশ্যাল মিডিয়া) মনে করি না।' বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির ভক্ত সামাজিক ওয়েবসাইটে যা-ই থাকুক, বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলভক্তের হৃদয়ে তিনি ঠাঁই করে নিয়েছেন অনায়াসে। তবে সামাজিক ওয়েবসাইটে যে তিনি নেই, তা নয়। ফেসবুকে তার ভক্তের সংখ্যা ২৮ মিলিয়নের (২ কোটি ৮০ লাখ) কাছাকাছি। কিন্তু ভক্তদের হৃদয়ে স্থান সৃষ্টিকারী এসব তারকা ফুটবলার সামাজিক ওয়েবসাইটে ভক্তদের সংখ্যা বিবেচনায় দাম্ভিক হতে রাজি নন। বরং তারা চান এর মাধ্যমে আরও বেশি ভক্তদের কাছাকাছি পেঁৗছতে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে। ফেসবুকে নিজেকে ভক্তদের কাছে আরও বেশি মেলে ধরতে সম্প্রতি মেসি একটি ব্যক্তিগত লোগো প্রকাশ করেছেন।
রোনালদোর চেয়ে যে সামাজিক ওয়েবসাইটে মেসি পিছিয়ে তা নয়। মেসির প্রতি একটা সাধারণ অভিযোগ হলো, ভক্তদের জন্য নিজের প্রোফাইল খুব বেশি উন্মুক্ত করেননি তিনি। তবে দুই সেরা ফুটবলারেরই সমালোচনা করেছেন সামাজিক মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিযোগ হলো, মেসি-রোনালদো সামাজিক ওয়েবসাইটে ভক্তদের সঙ্গে তেমন মিশতে চান না। সামাজিক মিডিয়া স্পোর্টস কোম্পানি 'কম্যুনিকার এজ গানার' এক জরিপে সমর্থকদের মূল্য দেওয়ার ক্ষেত্রে মেসি-রোনালদোর চেয়ে বার্সেলোনার সেস ফ্যাব্রেগাস এবং রিয়াল মাদ্রিদের ইকার ক্যাসিয়াসকে এগিয়ে রেখেছে। কমুনিকার এজ গানারের পরিচালক ইউরি মোরেজন বলেন, 'কোনো একজনের দুই থেকে ১৫ মিলিয়ন সামাজিক ওয়েবসাইট ভক্ত থাকতে পারে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ভালো।' ইউরি আরও বলেন, 'ইউরোপে খেলে এমন ফুটবলারের মূল্য শুধু তার ভালো খেলার ওপরই নির্ভর করে না। তার মূল্য নির্ভর করে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন মিশতে পারেন তার ওপর ভিত্তি করে। বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। অথচ খুব কম মানুষই এ সুযোগ গ্রহণ করে।' ইউরি মনে করেন, স্প্যানিশ লা লীগা খেলা ফুটবলারদের মধ্যে টুইটারে ফ্যাব্রেগাস এবং ফেসবুকে ক্যাসিয়াস সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বেশি। সবচেয়ে বড় উদাহরণ কয়েক দিন আগেই স্থাপন করেছেন সেস (ফ্যাব্রেগাস)। যখন সেভিয়ার ফ্রেডি কানুতের সঙ্গে টুইটারের মাধ্যমেই ফ্যাব্রেগাস সমস্যার সমাধান করে নেন। ফ্যাব্রেগাস আর ক্যাসিয়াসের পর সামাজিক ওয়েবসাইটে সবচেয়ে বেশি অ্যাকটিভ জেরার্ড পিকে এবং কার্লোস পুয়োল।

No comments

Powered by Blogger.