আলোকচিত্রে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম-পার্বত্য শান্তিচুক্তির ১৪ বছরপূর্তিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ছবি আহ্বান

লোকচিত্রের মাধ্যমে সৌন্দর্য ও সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই একদল তরুণ আলোকচিত্রী প্রতিষ্ঠিত করে 'ফটোগ্রাফি বাংলাদেশ'। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই জন্মলগ্ন থেকেই সংগঠনটি সক্রিয় ছিল দেশের পেশাদার ও নতুন আলোকচিত্রীদের সংঘবদ্ধ করার। এ জন্য তারা চালু করে িি.িঢ়যড়ঃড়মৎধঢ়ুযনফ.পড়স নামে একটি ওয়েবসাইট। যেখানে আলোকচিত্রীরা নিজেদের তোলা ছবি প্রদর্শন করে প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছেন।


একই সঙ্গে তারা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছেন নতুন এক বাংলাদেশ।দেশজুড়ে অসংখ্য সদস্যের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয় ফটোগ্রাফি বাংলাদেশকে। ইতিমধ্যে তারা দুটি জাতীয় পর্যায়ের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে নবীন আলোকচিত্রীদের ফটোগ্রাফি কর্মশালা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্য ও আদিবাসীদের জীবনধারা নিয়ে ফটোগ্রাফি বাংলাদেশ এবার আয়োজন করতে যাচ্ছে তৃতীয় জাতীয় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী_ ডরহফ ঙভ চবধপব ওহ ঞযব ঐরষষং। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তির ১৪ বছরপূর্তিকে উদযাপন করতেই এ আয়োজন। এতে শান্তিচুক্তির পর পার্বত্যাঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রায় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো তুলে ধরা হবে।
ইতিমধ্যে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার জন্য দেশের আলোকচিত্রীদের কাছ থেকে আলোকচিত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে আলোকচিত্র। জমাকৃত ছবি থেকে ৩০টি ছবি প্রদর্শনীর জন্য বাছাই করা হবে। এর মধ্যে সেরা তিন আলোকচিত্রীকে আকর্ষণীয় প্রাইজমানি, ৭ জনকে ক্রেস্ট এবং অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সম্মানিত করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে প্রদর্শনী। চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবার পার্বত্য জেলা রাঙামাটির চার উপজেলা কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও রাজস্থলিতে হবে প্রদর্শনী। প্রতিযোগিতা-প্রদর্শনীসহ যে কোনো তথ্য জানা যাবে সংস্থার ওয়েবসাইটে। পুরো আয়োজনে ফটোগ্রাফি বাংলাদেশকে সমকাল, সিটিসেল জুম ও এটিএন বাংলা সহযোগিতা করছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

No comments

Powered by Blogger.