ডায়াবেটিস ও মানসিক রোগ

ডায়াবেটিস মানুষের জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে । ডায়াবেটিসের কারণে কারও কারও মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে। আবার মানসিক রোগের তীব্রতায় যারা ভুগছেন তাদের ডায়াবেটিস হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষত যাদের রক্তের গল্গুকোজ বেশ বেশি মাত্রায় থাকে। যাদেরকে ইনসুলিন ইনজেকশন নিয়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায় তাদের বড় ধরনের মানসিক রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছুটা


সমস্যা করতে পারে। সে সব রোগী অতিমাত্রায় সংবেদনশীল, তাদের রক্তে গল্গুকোজ ও একটু আলাদাভাবে ডায়াবেটিসের কারণ হিসেবে চিহুিত করা হচ্ছে। মানসিক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হল বিশ শতকের গোড়ার দিকে ভাবা হতো যে, সিজোফ্রেনিয়াতে রক্তের গল্গুকোজ বাড়ে। ইদানীং গবেষণায়ও অনেকটা এরূপ তথ্যই পাওয়া গেছে।
এখন এটা পরিষ্কার যে, বড় ধরনের মানসিক রোগীদের একটা বড় অংশ ডায়াবেটিসে ভোগেন এবং শরীরে একই সাথে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উপস্থিত থাকে। যেমন, সিজোফ্রেনিয়ার রোগীকে তার সমবয়সীদের তুলনায় অনেক বেশি সময় বিছানায় থাকতে হয় তারা কম তাজা ফলমূল খেয়ে থাকেন। এজন্য তারা বেশি করে ডায়াবেটিস ও দৈহিক স্থুলতায় ভোগেন এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। সিজোফ্রেনিয়ার রোগীদের ১৬% থেকে ২৫% ডায়াবেটিসে ভুগছে।
বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার হার বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্যবয়সীদের স্থুলতা থাকলে ডিমেনশিয়ায় (স্মৃতিভ্রষ্টতা) আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে আর বেশি বয়সে ডিমেনশিয়া বাড়ে ডায়াবেটিসের কারণে।
ডোঃ শাহজাদা সেলিম
বারডেম হাসপাতল
শাহবাগ, ঢাকা

No comments

Powered by Blogger.