প্রতিবন্ধী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী-চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের বয়স ও শিক্ষা শিথিল করা হবে

প্রতিবন্ধীদের অধিকার সুরক্ষায় আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চাকরিক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। তাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা বর্তমান


সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণে সরকার ইতিমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নেবে। চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সমাজের ধনীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তাদের এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে।'
তিনি বলেন, 'স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের এখন অন্যদের তুলনায় ১৫ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। এই সময় বাড়িয়ে ৩০ মিনিট করা যায় কি-না তা ভেবে দেখা হচ্ছে।'
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য 'উন্নয়নে সম্পৃক্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি :সবার জন্য সুন্দর এক পৃথিবী।'
অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে ১০টি হুইল চেয়ার এবং পাঁচটি শ্রবণযন্ত্র বিতরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে তার সরকারের মেয়াদে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতিবন্ধী সম্পর্কিত সমন্বি্বত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০০৯ প্রণয়ন করেছে।
প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের জন্য ঢাকা জেলায় একটি 'মাল্টিপারপাস ক্রীড়া কমপেল্গক্স' করার ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'সুস্থ খেলোয়াড়রা যা করতে পারেনি, বিশেষ অলিম্পিকে প্রতিবন্ধীরা তা করে দেখিয়েছে।
ইন্দোনেশীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত জেট মির্জাল জয়নুদ্দিন গতকাল বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এম ওয়াহিদ-উজ জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.