জুরাছড়িতে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার জনসংহতি সমিতির সদস্যদের (সন্তুলারমা)সঙ্গেবন্দুকযুদ্ধেইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত সুপায়ন চাকমা (৩৫) রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের মাচ্যছড়া গ্রামের অধিরঞ্জন চাকমার ছেলে। এ নিয়ে এই বছর পার্বত্য এলাকায় আদিবাসীদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্বে তিন সংগঠনের ৩৩ জন মারা গেলেন। এর মধ্যে ইউপিডিএফের ১৭ জন, জনসংহতি


সমিতির (সন্তু লারমা) ১২ জন ও জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমার) চারজন রয়েছেন বলে সংগঠনগুলো নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে জুরাছড়ি সদর ইউনিয়নের ভেতর বালুখালী গ্রামের উগাইয়াছড়া এলাকায় জনসংহতি সমিতির (সন্তু লারমা) সদস্যদের সঙ্গে ইউপিডিএফের সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। থেমে থেমে প্রায় দেড় ঘণ্টা এই বন্দুুকযুদ্ধ চলে। খবর পেয়ে স্থানীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতেই ঘটনাস্থলে যান। পরে গতকাল শুক্রবার সকালে তল্লাশি চালিয়ে সুপায়নের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে বন্দুকযুদ্ধ চলছে। তবে ওই সব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের রাঙামাটি জেলাপ্রধান সোনামণি চাকমা দাবি করেন, নিহত সুপায়ন তাঁদের সংগঠনের নিরস্ত্র সদস্য। জনসংহতি সমিতির সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে সুপায়নকে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ইউপিডিএফের অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা বলেন, ‘সুপায়নের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
বন্দুকযুদ্ধে সুপায়নের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার পর পরই সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা ওই এলাকায় গিয়ে সারা রাত ছিলেন। গতকাল একজনের লাশ পাওয়ার পর ঘটনার আশপাশে সারা দিন তল্লাশি চালানো হয়। তবে আর কোনো লাশ পাওয়া যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.