আজ বর্ষবিদায়-রাস্তায় থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও র‌্যাব-পুলিশ

জ শেষ হচ্ছে ২০১১ সাল। কাল থেকে শুরু হচ্ছে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০১২। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করার জন্য বাংলাদেশেও অনেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এসব আয়োজনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও র‌্যাব প্রস্তুতি নিয়েছে। খ্রিষ্টবর্ষ বিদায়লগ্নে প্রয়োজন ছাড়া রাজধানীবাসীকে ঘরের বাইরে না থাকার অনুরোধ করেছে পুলিশ। রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ-র‌্যাব মোতায়েনের পাশাপাশি থাকবেন আটটি


ভ্রাম্যমাণ আদালত। আরও থাকবে মদ্যপায়ীদের শনাক্ত করার যন্ত্র। কয়েকটি এলাকায় চলাচল থাকবে নিয়ন্ত্রিত।
ইংরেজি নববর্ষের নিরাপত্তা নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার র‌্যাব সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান র‌্যাবের প্রস্তুতির বিষয়গুলো সাংবাদিকদের জানান।
গতকাল ডিএমপির মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে কমিশনার বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাত থেকে ঢাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। উন্মুক্ত স্থানে কোনো জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বনানী, বারিধারা—এসব এলাকায় রাত নয়টার পর থেকে চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। ওই সব এলাকার বাসিন্দা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পরিচয় নিশ্চিত করে চলাচল করতে পারবেন। এ ছাড়া সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে ঢাকার পানশালা (বার) ও মদ বিক্রয়কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কমিশনার বলেন, এবার ঢাকার কয়েকটি জায়গায় মদ্যপায়ী শনাক্ত করার জন্য বিশেষ যন্ত্র নিয়ে পুলিশের সদস্যরা থাকবেন। মদ্যপান করে গাড়ি চালানো বন্ধের জন্য এই ব্যবস্থা। এ ছাড়া রাজধানীর রাস্তায় থাকবেন আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। কেউ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বা অন্যান্য বর্জনীয় কাজ করলে তাঁকে তাৎক্ষণিক সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠাবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।
৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো, বেপরোয়া গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালনা, রাস্তায় মিছিল-জমায়েত, মদ্যপান, লাউড স্পিকার-মাইক বা তীব্র হর্ন ব্যবহার করে শব্দদূষণ ইত্যাদি কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
র‌্যাবের প্রস্তুতি: ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় র‌্যাবের দুই হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে র‌্যাবের নজরদারি থাকবে। আতশবাজি ও পটকা বিক্রি বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব। মাদকাসক্ত হয়ে কেউ যেন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে, সে জন্য প্রস্তুত থাকবেন র‌্যাবের সদস্যরা। এ ছাড়া প্রস্তুত থাকবে র‌্যাবের বোমা অপসারণ দল ও ডগ স্কোয়াড।
চলাচলের নির্দেশনা: ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কয়েকটি এলাকায় চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। চলাচলের জন্য পুলিশের নির্দেশিত কয়েকটি রাস্তা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের জন্য শুধু পাঁচটি পথ খোলা থাকবে, বাকিগুলো পুলিশ বন্ধ করে দেবে। এগুলো হলো: তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফনিক্স রোড ক্রসিং, আমতলী ক্রসিং, কাকলি ক্রসিং, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢোকার জন্য শাহবাগ ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগ ক্রসিং ও নীলক্ষেত ক্রসিং খোলা থাকবে।
এই সময়ের মধ্যে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধরা পড়লেও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

No comments

Powered by Blogger.