সৃষ্টিশীলতায় বাংলাদেশ

তুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার ব্যাঙ আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রাখার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে একটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ পাওয়া গেছে। এর আবিষ্কারক ২৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ সাজিদ আলী হাওলাদার। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ১০ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রাণিবিদ্যাবিষয়ক পত্রিকা জুটেক্সা এটিকে নতুন প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।


সারা পৃথিবীতে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ প্রজাতির ব্যাঙ আছে। এর মধ্যে ফেজারভারিয়া গোত্রের ৩৩টি প্রজাতি পাওয়া যায়। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এ প্রজাতিগুলো বিস্তৃত।
অসামান্য প্রাণিবিদ কাজী জাকের হোসেন
দেশের প্রাণিবিজ্ঞানের পুরোধা ব্যক্তিত্ব,
পাখিপ্রেমী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন
আর নেই। ২১ জুন বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে লালমাটিয়ায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন এই অসামান্য প্রাণিবিদ। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজী জাকের হোসেনের মৃত্যুতে
গভীর শোক প্রকাশ করেছেন
বাংলাদেশি রোবট চাঁদে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
এ দেশে রোবট নির্মাণই একটি বিশাল ব্যাপার। আবার সেখানকার নির্মিত রোবট চাঁদে যাবে। হ্যাঁ, সে রকম এক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এই রোবট 'চন্দ্রবোট' বর্তমানে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে আছে।
নাসার প্রতিযোগিতার মানদণ্ড অনুযায়ী, রোবটটি পরিচালিত হবে দূরনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির মাধ্যমে, মাত্র ১৫ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠের কমপক্ষে ১০ কিলোগ্রাম ধুলোমাটি সংগ্রহ করতে হবে এ রোবটকে। নাসার আমন্ত্রণে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বাছাই করা ৪৬টি প্রকল্প। এর মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র প্রকল্প 'চন্দ্রবোট'। এই রোবট মিশন সম্পর্কে জানাতে এ বছর এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে রোবট ও ইন্টারনেট নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ হচ্ছে।
মৃত্যু কী? শিশুদের জানালেন মনোবিজ্ঞানী
মৃত্যু খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। জীবনের সঙ্গে মৃত্যু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে মৃত্যু যেন শুধু বড়দের জন্য। ছোটদের এ বিষয়ে তেমন কিছু জানানো হয় না বা বলা হয় না। অবশ্য হালে এ ব্যাপারটা কিন্তু একদম বদলে গেছে। সম্প্রতি এক জার্মান মনোবিজ্ঞানী বাচ্চাদের জন্য বিশেষ একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করেছেন। এ প্রোগ্রামে বাচ্চাদের মৃত্যু সম্পর্কে নানা বিষয় জানানো হয়, দেওয়া হয় নানা তথ্য। কোলোন শহরের অদূরেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ এ কোর্সের। এ কোর্সের মেয়াদ পাঁচদিন। কোর্সের নাম 'হসপিস মাখ্ট শুলে' অর্থাৎ যে মানুষটি মৃত্যুর খুব কাছাকাছি তার সঙ্গে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাটানো। সেই কোর্সে প্রতিদিনই বাচ্চাদের একবার করে জানানো হয় মৃত্যু হচ্ছে খুবই স্বাভাবিক এক প্রক্রিয়া। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীকে এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বেঁচে থাকার অর্থ হলো সাদা মেঘ। অসুস্থ মানে অন্ধকার এবং মৃত্যু মানে কালো মেঘ। এই হচ্ছে প্রধান তিনটি রঙ। এসব বাচ্চাকে বলা হয়েছিল পাঁচ দিনে তারা কী দেখেছে, জেনেছে তা নিয়ে একটি লেখা জমা দিতে। কী লিখেছে তারা? একটি ছেলে জানাল, 'আমার দাদা এখন বসবাস করছে কালো মেঘের মধ্যে। কারণ তিনি মারা গেছেন। আমি সাদা মেঘের মধ্যে কারণ এখানে আমার সব বন্ধু-বান্ধব আর খেলার সাথী রয়েছে।'
বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে
প্রায়ই বলতে শোনা যায়, বিজ্ঞানের যুগে দেশে বিজ্ঞান শিক্ষা ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। এ জনপ্রিয়তা হারানো তথা বাঙালির বিজ্ঞানহীন হয়ে যাওয়ার পরিসংখ্যান আমরা জানি না। এ পরিসংখ্যান জানার জন্য 'বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষা' গবেষণা বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। এ গবেষণায় দেখা গেছে, গত আট বছরে বিজ্ঞান শিক্ষার্থী কমার হার ৩১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষা নামে গবেষণামূলক বইটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন।
টাঙ্গুয়ার হাওর জীববৈচিত্র্যের জীবন্ত মডেল
নয়কুড়িকান্দা আর ছড়কুড়ি বিলের এক অপূর্ব জলাভূমি আমাদের টাঙ্গুয়ার হাওর। এর চেয়ে বড় জলাভূমি বা হাওর আমাদের আছে, কিন্তু জীববৈচিত্র্যের এত বড় মিলনমেলা আর কোথাও চোখে পড়ে না। এই বৈচিত্র্যের কারণে জলাভূমিটি ২০০০ রামসার সাইটের মর্যাদা পেয়েছে। গোটা দুনিয়ায় সবচেয়ে বিরল হাঁসের কয়েকটি জাতও টাঙ্গুয়ার হাওরে দেখা যায়। এখন পর্যন্ত ২০৮ প্রজাতির পাখি এই হাওর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৮টি হলো পরিযায়ী প্রজাতি। মার্চে টাঙ্গুয়ার হাওরে বন্যপ্রাণীর এক শুমারি হয়। শুমারিতে ১৬৯ জাতের পাখি গণনা করা হয়। শুধু পাখিই নয়, বিরল কচ্ছপ, সাপ, ব্যাঙ আর হরেক রকমের গাছপালার এক অন্য রকমের জলাভূমি এই হাওর।
হআসিফ

No comments

Powered by Blogger.