মিয়ানমারে উপনির্বাচন ১ এপ্রিল, লড়বেন সু চি

মিয়ানমারে আগামী ১ এপ্রিল পার্লামেন্টের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির সরকার গতকাল শুক্রবার উপনির্বাচনের এ তারিখ ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইন। এ উপনির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সাং সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দীর্ঘ দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এনএলডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন


উপনির্বাচনে তাদের দল ৪৮ আসনের সবগুলোতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। গত বছর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে এনএলডি ওই নির্বাচন বর্জন করে। ওই নির্বাচনে সু চিকে প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন দেয়নি দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ। অবশ্য নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে সামরিক জান্তা-সমর্থিত সরকার অনেক বিধি-নিষেধই রদ করেছে।
আগামী ১ এপ্রিল নিম্নকক্ষের ৪০টি, উচ্চকক্ষের ছয়টি এবং আঞ্চলিক পরিষদের দুটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত জানুয়ারিতে দেশটির পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনের পর এ আসনগুলোর সদস্যরা মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করলে তা শূন্য ঘোষিত হয়।
আসন্ন এ উপনির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা জমা দিতে হবে।
এনএলডির কর্মকর্তা নিয়ান উইন জানিয়েছেন, তাঁদের নেত্রী অং সাং সু চি এই উপনির্বাচনে তাঁর নিজ এলাকা কাউমু অঞ্চল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নিম্নকক্ষের এ আসনটি মিয়ানমারের বাণিজ্যিক বন্দর ইয়াংগুন থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। সু চি এই অঞ্চলেই বাস করেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে এনএলডি গত ২৩ ডিসেম্বর পুনরায় নিবন্ধন করে।
বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এনএলডির জন্য এই নির্বাচন হবে একটা পরীক্ষা। তবে সু চি স্বীকার করেছেন, ‘সামনের পথে অনেক বাধা এবং গণতন্ত্রের পথ সীমাহীন।’
১৯৯০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল এনএলডি। তবে দেশটির সামরিক জান্তা সে সময় দলটিকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করে। ১৯৯০ সালের পর গত বছরই দেশটিতে প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছিল।

No comments

Powered by Blogger.