ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্যে তদন্ত কমিটি

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যদের বেদম প্রহারে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তিন পরিদর্শক আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্তে নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খোদ তদন্ত কমিটি ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। অভিযোগকারী জুয়েলকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি তদন্ত কমিটি। আহত তিন ডিবি পরিদর্শক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।এক আদম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা মহানগর ডিবির তিন পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ, রুহুল আমিন ও গিয়াস উদ্দিনকে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করেন এনএসআই কর্মকর্তারা।


ওই দিনই তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।তদন্ত কমিটির প্রধান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মীর শহিদুল ইসলাম বলেন, 'অভিযোগকারী জুয়েলকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাঁর দুটি মোবাইল ফোন নম্বরই বন্ধ রয়েছে। তাঁকে কমিটির সামনে হাজির করতে এনএসআইকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।' এনএসআইয়ের কোনো কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না_এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ঘটনায় সম্পৃক্ত এমন কয়েকজনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হতে অনেক সময় লাগবে।' তিনি আরো বলেন, 'এখন এর পেছনে অন্য কোনো স্বার্থ ছিল কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে। তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এনএসআই যে ভূমিকা পালন করেছে, তার কোনো আইনগত বৈধতা আছে বলে আমার জানা নেই।'
এনএসআই কর্মকর্তারা বলছেন, সেদিন কোনো অপরাধ করেনি এনএসআই। এক আদম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ভুয়া ডিবি সদস্যদের ধরার জন্য সেদিন হলি ফ্যামিলির সামনে অভিযান চালিয়ে ওই তিন গোয়েন্দাকে আটক করা হয়। আইন অনুযায়ী এনএসআই গ্রেপ্তারের ক্ষমতা রাখে। ডিবির ওই তিন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়। তবে আটকের পরপরই ওই তিন পরিদর্শককে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে এনএসআই সূত্র। ওই সূত্র আরো দাবি করেন, ঘটনার পর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.