একই রকম চেহারার নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে ছাত্রীকে হয়রানি

কই রকম চেহারার নগ্ন ভিডিওচিত্র প্রচার করার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর এক কলেজছাত্রীকে হয়রানি করতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে এক কলেজছাত্র। রফিকুল ইসলাম জুয়েল (২৫) নামের ওই ছাত্রকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডেমরার সারুলিয়া বাজারে গতকাল সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই দণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র। র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, জুয়েলকে গ্রেপ্তারের পর ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে যে মেয়েটির ছবি রয়েছে, তা দেখতে অভিযোগকারী ছাত্রীর মতো হলেও আসলে সে না।


র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজছাত্রী কয়েক দিন আগে সারুলিয়া বাজারের 'ভাই ভাই টেলিকম' নামে একটি ফোন ও ফ্ল্যাঙ্েিলাডের দোকান থেকে মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জ করেন। ওই দোকানের মালিক কলেজছাত্র জুয়েল তখন বসেছিল দোকানে। সে ছাত্রীটির মোবাইল ফোন নম্বরটি রেখে দেয়। দুদিন পর রাত ২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ফোন করে জুয়েল। ছাত্রীটি ফোন না ধরলে জুয়েল একের পর এক ফোন করেই যেতে থাকে। একপর্যায়ে ছাত্রী ফোনটি ধরে। জুয়েল তাকে জানায়, তার কাছে মেয়েটির নগ্ন ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। এ কথা বিশ্বাস হয় না ছাত্রীর। জুয়েল জানায়, বিশ্বাস না হলে তার মোবাইল ফোন থেকে দেখে যেতে। পরে ওই ছাত্রী জুয়েলের দোকানে গেলে নগ্ন ভিডিওচিত্রটি দেখায় এবং ছাত্রীর মোবাইল ফোনে কপি করে দেয়। নগ্ন ভিডিওচিত্রের মেয়েটির সঙ্গে ওই ছাত্রীর চেহারার কিছুটা মিল থাকলেও আসলে সেটি ওই ছাত্রীর নয়। তার পরও জুয়েল দাবি করে, এটি ওই ছাত্রীর ভিডিও। এটি সিডিতে কপি করে এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সে। জুয়েল ছাত্রীকে বলে, তার কথামতো কাজ করলে ভিডিওটি সে কাউকে দেখাবে না। জুয়েল তখন মেয়েটিকে অশালীন প্রস্তাব দেয় এবং সোমবার (গতকাল) সকালে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। মোবাইল ফোনের সব কথোপকথন রেকর্ড করে রাখে ছাত্রীটি। পরে বিষয়টি র‌্যাবকে জানায়। র‌্যাব ১০-এর উপপরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার এম তাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে র‌্যাবের সাদা পোশাকের একটি গোয়েন্দাদল গতকাল কৌশলে জুয়েলকে ধরে ফেলতে সমর্থ হয়।

No comments

Powered by Blogger.