সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর বাসা-কার্যালয়ে তল্লাশি

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের সাবেক এক মন্ত্রীর বাসায় ও অফিসে গতকাল সোমবার তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। ওই মন্ত্রীর নাম দয়ানিধি মারান। তাঁর ভাই কালানিধি মারানের বাসা ও অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। আগের দিন তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমনে আইনে মামলা করে সিবিআই। তবে দয়ানিধি টু-জি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের অন্যতম শরিক তামিল নাড়ুভিত্তিক ডিএমকে দলের নেতা দায়ানিধি। ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকারের প্রথম মেয়াদে তিনি কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।


২০০৯ সালে সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁকে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে টু-জি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর গত জুলাইয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।
রবিবার দায়ের করা মামলায় দয়ানিধি ও তাঁর ভাইয়ের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী আনন্দ কৃষ্ণানসহ ও আরো অনেকের নাম রয়েছে। এরপর সাবেক মন্ত্রী ও তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য দিলি্লর একটি আদালত থেকে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা অনুমতি নেয়। স্থানীয় সময় গতকাল সকাল ৭টায় দিলি্লতে দয়ানিধি ও তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে এবং চেন্নাইয়ে তাঁদের কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এ ছাড়াও সিবিআই এ্যাপোলো হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক সুনিতা রেড্ডির বাসা ও অফিসে তল্লাশি চালায়।
দয়ানিধির বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভারতীয় মোবাইল কম্পানি এয়ারসেলকে জোরপূর্বক মালয়েশিয়ায় মোবাইল ফোন কম্পানি উষা তেগাসের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য করেন। এয়ারসেল বিক্রির জন্য এর মালিক শিবশঙ্করণকে চাপ দিতে থাকেন দয়ানিধি। মালয়েশীয় ওই কম্পানির চেয়ারম্যান টি আনন্দ কৃষ্ণান। এর প্রতিদান হিসেবে দয়ানিধির মালিকানাধীন সান নেটওয়ার্কে কৃষ্ণান ৮০০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেন। কালানিধি সান টিভি নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
টু-জি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাবেক টেলি যোগাযোগমন্ত্রী এ রাজার বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে সিবিআই। রাজা বর্তমানে সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন। সূত্র : বিবিসি, এনডিটিভি, জিনিউজ।

No comments

Powered by Blogger.