গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলে ১১ চীনা নাবিককে হত্যা

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলে হত্যা করা হয়েছে ১১ চীনা নাবিককে। রোববার রাতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বুধবার চীনা নাবিকদের দুটি কার্গো জাহাজ থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার মধ্যবর্তী মেকং নদী অতিক্রম করার সময় তাদের হত্যা করা হয়।’ থাইল্যান্ড, লাওস ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী এই নদীস্থলকে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল বলা হয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ১১ জন নিহত ও দুই নাবিক নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী প্রদেশ ইউয়ানের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ১২ জন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছে।


চায়না নিউজ সার্ভিস এক সংবাদে বলেছে, তাদের কারা আক্রমণ করেছে, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি। মেকং নদীতে এর আগেও এরকম হামলা হয়েছে। তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই নদীপথ এলাকায় নাবিক ও যাত্রীদের কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আদেশ দিয়েছে। বর্তমানে চীনে হত্যা, খুন, রাহাজানি, অপহরণের ঘটনা এত বেড়ে গেছে যে, এ ঘটনাটি সরকারের জন্য বেশ স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তা কর্মীদের জানিয়েছেন, আটজনের একটি সশস্ত্র দল দুটি জাহাজে অতর্কিত হামলা করে। হত্যার পর তাদের মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশ নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে। চায়না নিউজ সার্ভিস থাই গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে আক্রমণকারীরা মাদক চোরাচালানকারী। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জাহাজ দখল করে নিরাপদে মাদক পাচার করা। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের এই অঞ্চল মাদক পাচারকারীদের স্বর্গ। প্রতিনিয়তই এ পথে হেরোইন, কোকেন ও মারিজুয়ানার মতো মাদক পাচার করা হচ্ছে। এর আগে একই স্থানে ৩৪ জন নাবিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে চোরাচালানকারীরা। কয়েকদিন পরেই তাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। নদীপথে চীন থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে সহজ পথ এই মেকং নদী। ২০০১ সালে চীন, মিয়ানমার, লাওস ও থাইল্যান্ডের মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বলা হয় কম্বোডিয়া ও ভিয়েনামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত চার হাজার ৯০০ কিলোমিটার নদীপথে চার দেশের জাহাজ নিয়মিত চলাচল করতে পারবে।

No comments

Powered by Blogger.