চীনকে চাপে রাখার কৌশল : ভিয়েতনামের পাশে ভারত

চীনের কড়া বিরোধিতা সত্ত্বেও ভিয়েতনামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। আজ মঙ্গলবার তিনদিনের সফরে ভারতে আসছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রুঙ্গ তান সাঙ্গ। তিনি প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ও ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই করবেন। দক্ষিণ চীন সাগরের দু’টি ব্লক থেকে ভারতের তেল উত্তোলন নিয়ে দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ক যখন চরমে, তখনই ত্রুঙ্গ তান সাঙ্গ-এর এই সফরকে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতা নিয়ে কথা বলতে বেঙ্গালোর ও মুম্বাইয়েও যাবেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট।


এই দুই শহরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ হ্যানয় সফরে যাওয়ার আগে এই তেল উত্তোলন নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল এশিয়ার এই দুই বৃহত্ শক্তিধর দেশের মধ্যে। চীনের অনুমতি ছাড়া ভারত ওই এলাকা থেকে তেল তুলতে পারবে না এই মর্মে দিল্লিকে প্রতিবাদপত্রও পাঠিয়েছিল বেইজিং। ভারত অবশ্য বিষয়টিকে উপেক্ষা করেই হ্যানয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে তত্পর হয়। পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, দিল্লি যা করার আন্তর্জাতিক আইন এবং আচরণবিধি মেনেই করেছে। সুতরাং পিছিয়ে আসার কোনো প্রশ্নই নেই। ভিয়েতনামও এ বিষয়ে বেইজিংয়ের বিরোধিতা প্রশমিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে নিজেদের মতো করে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ত্রুঙ্গের ভারত সফরের সময়ই ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট নেতা নুয়েন ফু ত্রঙ্গকে বেইজিংয়ে পাঠানো হচ্ছে। হ্যানয় স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনো কারণেই তারা দিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া থেকে সরে আসতে চায় না। চীনকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবেই ভিয়েতনামের পাশে থাকার কথা ভাবছে ভারত। এমনটা মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে ভারতও ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

No comments

Powered by Blogger.