শেয়ারবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত

শেয়ারবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার বড় ধসের পর গতকালও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ সূচক কমেছে ১৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। ডিএসই কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫১৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট। ২৯ মে’র পর এটিই সর্বনিম্ন। সেদিন সাধারণ সূচক ছিল ৫ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে গতকাল। পুঁজিবাজারে অব্যাহত ধসের মুখে আবারও ফুলে ফেঁপে উঠছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পুঁজি হারিয়ে গতকালও বিনিয়োগকারীদের তরফ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।


এ সময় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডিএসই সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে রোববার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন শুরুর ১৯ মিনিটের মাথায় সূচক ১৮ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর দ্রুত সূচক কমতে থাকে। ২৫ মিনিটের মাথায় সূচক ৩২ পয়েন্ট কমে। ডিএসইতে এভাবেই দিনভর সূচক দ্রুত উঠানামা করে। ডিএসইতে দিনশেষে সাধারণ মূল্যসূচক ১৪.৫৪ পয়েন্ট কমে ৫,৫১৮.৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল ২৫৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৯ কোটি টাকা কম। ডিএসইতে গতকাল মোট ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম কমেছে ১৩৬টির, বেড়েছে ১০৩টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো, এনবিএল, এমজেএল বিডি, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, এমআই সিমেন্ট ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৫০.১০ পয়েন্ট কমে ৯,৯৪২.৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জটিতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে সাত কোটি টাকা কম।
গতকাল মোট ১৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম কমেছে ১২০টির, বেড়েছে মাত্র ৩৯টির ও ১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.