পতনের দ্বারপ্রান্তে গাদ্দাফির সির্ত শহর

তনের দ্বারপ্রান্তে এখন লিবিয়ায় গাদ্দাফির শেষ ঘাঁটি সির্ত শহর। এরই মধ্যে এনটিসি যোদ্ধারা সেখানের বিশ্ববিদ্যালয়টি দখলে নিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কমান্ডার মোস্তফা আবদেল জলিল বলেছেন, তারা সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়, প্রধান হাসপাতাল এবং ওয়াগোদোগে কনফারেন্স সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। রাজধানী ত্রিপোলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘আল্লাহ চাইলে এ সপ্তাহের মধ্যেই সির্ত ও বানিওয়ালিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে আসবে।’ মোস্তফা আবদেল জানান, গাদ্দাফিকে আটক করা না গেলেও সির্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের পর জাতীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করা হবে।

তবে রাস্তায় এখনও গাদ্দাফি বাহিনীর প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে গাদ্দাফি অনুগতরা এখনও মরু শহর বানিওয়ালিদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। যদিও এনটিসি বাহিনীর কাছে সেটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাদের মতে, এটা দেশে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। গত মাসেই গাদ্দাফির এক ছেলেসহ পরিবারের বেশ কিছু সদস্য আলজেরিয়া ও নাইজারে পালিয়ে যায়।
তবে গাদ্দাফি ও তার আরেক ছেলে সাইফ আল ইসলামের এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে গাদ্দাফি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অপর উপকূলীয় শহর বানিওয়ালিদের বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এনটিসি সেনারা। স্থানীয় গণমাধ্যম এ খবর জানায়। এদিকে ন্যাটো বাহিনী জানিয়েছে, সির্ত দখল না হওয়া পর্যন্ত এনটিসিকে সাহায্য করতে তাদের বিমান হামলা চালিয়ে যাবে। এনটিসি সেনারা জানায়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। মিসরাতা শহরের যোদ্ধারা পশ্চিম দিক থেকে শহরে প্রবেশ করেছে। এনটিসি কমান্ডার নাসের জামুদ বলেন, প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে।

No comments

Powered by Blogger.