কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগ...

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রসঙ্গ তুলতেই বোঝা গেল, আগের রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালটা বেশ তারিয়ে তারিয়েই উপভোগ করেছেন ড্যারেন সামি। বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের শিরোপা জয়ে উচ্ছ্বসিতও, কারণ এ দলটাকেই যে সমর্থন করেছেন ফাইনালে! তবে সেটা তাঁর দলের কিয়েরন পোলার্ডের চেয়ে লাসিথ মালিঙ্গার জন্যই বেশি। ওই শ্রীলঙ্কান যে টোয়েন্টি টোয়েন্টি ক্রিকেটেও অবাধ রান-প্রবাহ ঠেকানো বোলিং করে চলেছেন নিয়মিত। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সাফল্যে পোলার্ডের অবদানও অবশ্য উল্লেখ করতে ভুললেন না, 'মুম্বাইয়ের জয়ে পোলার্ডের ভূমিকাও কম নয়।'


ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে না পারলেও একটি উইকেট নিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে দুটো ক্যাচও।
সেই পোলার্ড অবশ্য আইসিসির নীতিমালার কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবীয় টোয়েন্টি টোয়েন্টি দলের অংশ হতে পারেননি। নিয়মানুযায়ী কাউকে আন্তর্জাতিক টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলতে হলে তাঁকে আগে নিজের দেশে এ ধরনের ঘরোয়া আসরে খেলতে হয়। পোলার্ড তা না করায় বাংলাদেশ সফরের একমাত্র টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলতে পারছেন না। তিনি না থাকলেও দলে কিন্তু এ ধরনের ক্রিকেট-অভিজ্ঞের অভাব নেই। সাকিব আল হাসান যেখানে আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি, সেখানে পোলার্ড ছাড়াও এখনকার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলেরই ছিলেন কয়েকজন। ফাস্ট বোলার কেমার রোচ ডেকান চার্জার্সের এবং অ্যাড্রিয়ান বারাথ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের। পাঞ্জাব সদ্যসমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ালিফাই করতে না পারলেও বারাথ এখানে প্রতিনিধিত্ব করেছে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর (টিএনটি)। তাঁর সঙ্গে ড্যারেন ব্রাভো, দীনেশ রামদিন, রবি রামপাল এবং লেন্ডল সিমন্স তাঁদের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান শেষ করে তবেই এসেছেন ঢাকায়। দলের অন্যরাও টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, কারণ ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে নিয়মিতই বসছে এ ধরনের ক্রিকেটের ঘরোয়া আসর। তাঁদের অবস্থা যখন এই, তখন মোহাম্মদ আশরাফুলকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতে হচ্ছে, 'অন্যান্য জায়গায় খুব টোয়েন্টি টোয়েন্টি হচ্ছে। আমরাই কেবল খেলি না।'
ঘরোয়া আসরের বাইরে স্ট্যানফোর্ড টোয়েন্টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলা ক্যারিবীয় অধিনায়ক ড্যারেন সামি তবু বাংলাদেশের টোয়েন্টি টোয়েন্টি অভিজ্ঞতার আকালে সান্ত্বনা দিতে চাইলেন, 'বাংলাদেশের তো সাকিবের মতো খেলোয়াড় আছে যে কিনা মাত্রই চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলে এল। সে নিশ্চয়ই নিজের অভিজ্ঞতা সতীর্থদের জানাবে এবং তা আত্মবিশ্বাস বাড়ানোয় সহায়ক হবে।' আইপিএল ও চ্যাম্পিয়নস লিগের সুবাদে সাকিবই যা একটু নিয়মিত টোয়েন্টি টোয়েন্টি খেলেছেন। এ ছাড়া কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন তামিম ইকবালও। এ দুজনের না হয় খেলার সুযোগ হয়েছে কিন্তু অন্য খেলোয়াড়দের নিয়ম করে খেলা হয় না, কারণ দেশে টোয়েন্টি টোয়েন্টির ঘরোয়া আসরই তো অনিয়মিত।

No comments

Powered by Blogger.