'যখন আমার মেয়ের দেহ ঘরে শায়িত ছিল, তখন টাকা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ' by সেবন্তী ভট্টাচার্য্য
'নির্যাতিতার বাবা বললেন, 'ওরা কিন্তু আমার মেয়ের কোনও শরীরিক পরীক্ষা করেনি। যেটা প্রথম কাজ ছিল, সেটা কিন্তু করেনি। বেলা এগারোটার সময়ে জানানো হয়, আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কোনও মেডিক্যাল টেস্ট হল না, আগে তারা বলে দিল আত্মহত্যা করেছে। কেন করেছে এটা, সেটা তারা জানে।'
কন্যাহারা বাবার প্রশ্ন, 'ময়নাতদন্ত করতে এত দেরি করল কেন? আমি ৬.৩০ থেকে ৭টার মধ্যে এফআইআর করলাম, রেজিস্টার হল ১১.৪৫ মিনিটে। এত ডাক্তার থাকা সত্ত্বেও, পুলিশ একটা অস্বাভাবিক মামলা রুজু করল। কী কারণে?' ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বার বার মিথ্যা কথা বলছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু বাবা-মা-ই নন। নির্যাতিতার কাকিমাও ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি জানান, “ওইদিন (৯ আগস্ট) সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ খবর পাই। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গাড়ি নিয়ে আমরা আসি। চারজন একসঙ্গে এসেছিলাম। দেহ দাহ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঘিরে রেখেছিল আমাদের। অন্তত তিন থেকে চারশো পুলিশ আমাদের পরিবারকে আটকে রেখেছিল।”
সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। তার আগের রাতে এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন রাত ৯টায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। আঁধারে ঢাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর-সহ শহরের প্রায় বিভিন্ন প্রান্ত।সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় বাড়ছে হতাশা। এই পরিস্থিতিতে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের। সন্তানহারা মায়ের ভেজা চোখে একটাই আর্জি, “আমি চাই, অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক।”
No comments