ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডা
ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কোনো চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলাডেলফি করিডোর থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরে যাবেন কি না, এমন প্রশ্নে ঝগড়া করেন নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর গাজা-মিসর সীমান্তে অবস্থিত।
বর্তমানে ফিলাডেলফি করিডর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি চলাকালে এই করিডরে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন রাখা নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। হামাসের দাবি, যুদ্ধবিরতি চলাকালে সীমান্ত এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নিতে হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নেতানিয়াহু একটি ম্যাপ দেখিয়ে বলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি ফিলাডেলফি করিডরে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন করে রাখতে চান। তখন গ্যালান্ট বলেন, এতে হামাস একমত হবে না। ফলে তারা কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যাবে না। এর জেরে জিম্মি ব্যক্তিদেরও ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।
বিষয়টি নিয়ে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের মধ্যে বেশ কিছু সময় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে। একপর্যায়ে গ্যালান্ট বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই যেহেতু সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তিনি সব জিম্মিদের হত্যার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ৩০টি মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
পরে নেতানিয়াহুর উপস্থাপন করা ম্যাপের অনুমোদনের জন্য ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। নেতানিয়াহুর পক্ষে ভোট পড়ে আটটি। বিপক্ষে ভোট দেন শুধু গ্যালান্ট। আর ভোটদানে বিরত ছিলেন ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা চালিয়ে প্রায় আড়াই শ জনকে জিম্মি করে হামাস। ওই হামলায় নিহত হন অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন। সেদিন থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৯১ জন নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ।
No comments