১ লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ: এস আলমের বিরুদ্ধে তদন্তে সিআইডি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ঘনিষ্ঠ ও তাদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পাওয়া অন্যতম বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংক দখল করে লুট, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। এস আলমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, কমার্স ব্যাংকসহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এস আলম পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি গ্রুপটির অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও দেশ ছেড়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে কেবল ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম। এরপর ২০১৭ সালের ৫ই জানুয়ারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ইসলামী ব্যাংকের দখল নিয়ে নেয় এস আলম গ্রুপ। নামে-বেনামে শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেয়া হয়েছে অন্তত ৭৫ হাজার কোটি টাকা। যার বেশির ভাগই পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। বিপুল অঙ্কের ঋণ বের করতে বড় একটি চক্র গড়ে তোলেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার নানা উপায়ে তাকে সহায়তা করেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা নানা সুবিধা নিয়ে তার পক্ষে কাজ করেন। এর আগে, ২০১৬ সালে গ্রুপটি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ এস আলম গ্রুপের কাছেই, ফলে ব্যাংক দু’টির বেশির ভাগ ঋণ এই গ্রুপের কাছে আটকে রয়েছে। ২০১৭ সালের পর রাজধানীর গুলশান, বসুন্ধরা, ধানমণ্ডিসহ একাধিক এলাকায় স্থাবর সম্পত্তি কিনেছে গ্রুপটি। আবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের নানা এলাকায় জমি কিনেছে। পাশাপাশি দেশের বাইরে একাধিক তারকা হোটেলের মালিক হওয়ার অভিযোগও রয়েছে এস আলমের বিরুদ্ধে।
No comments