গণতন্ত্রের সব স্তম্ভ সরকার চুরমার করে দিয়েছে- জিয়ার জন্মবার্ষিকীর আলোচনায় by তরিকুল

 দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেছেন আওয়ামী লীগের একদলীয় নির্বাচনের খায়েশ প্রতিহত করা হবে।
আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি জোরদার করতে হবে। জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমানের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনাসভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সেখানে যাননি তিনি।
তরিকুল বলেন, এ সরকারের কাছে জনগণ নিরাপদ নেই। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে আন্দোলন দমন করতে চায়। এ সরকার গণতন্ত্রের সকল স্তম্ভ ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থেই এ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দল সভাপতি নূরে আরা সাফা ও ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল ।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের খবর থাকবে না। সে জন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এখন তারা একদলীয় নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। এদেশের মানুষ তাদের সেই স্বপ্ন কখনও পূরণ হতে দেবে না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশালের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু সেই গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এ সরকার বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির মতো বড় একটি দলের মহাসচিবকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মামলায় আটক রেখে এই সরকার প্রমাণ করেছে যে দেশে আইনের শাসন নেই। তিনি বলেন, আমরা হাইকোর্টে একটি রিট করব। যাতে আগামীতে যে সব মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুলের নাম নেই সে সব মামলায় তাকে আর শ্যোন এরেস্ট করতে না পারে।
এমকে আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় ৪৩ জন সংসদ সদস্যকে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকা-ের জন্য বহিষ্কার করেছিল। তারা এখন কে কোথায় আছে। তাদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর প্রায় ১ লাখ লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৭৩৫ জনের বিচার হয় এবং বাকিদের মাফ করে দেয়া হয়। এ ছাড়া ১৯৫ জন পাকিস্তানী চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে শেখ মজিবুর রহমান ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে হলে এই ১৯৫ জনের বিচারও করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.