'জাতীয়তাবাদীদের' সংলাপে বসার আহবান দামেস্কের

সিরিয়ার 'জাতীয়তাবাদী' বিধোরীদের অস্ত্র ছেড়ে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়ালেম। তিনি বলেন, বিদেশিদের হস্তক্ষেপের সুযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোসাপেক্ষে যেকোনো বিরোধী গোষ্ঠী নতুন সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনায় বসতে পারবে।
তবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা 'গ্রহণযোগ্য হবে না' বলে সতর্ক করেন তিনি।
সে অনুযায়ী, প্রধান বিরোধী জোট- ন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর সিরিয়ান রেভল্যুশনারি অ্যান্ড অপোজিশন ফোর্স (সংক্ষেপে ন্যাশনাল কোয়ালিশন) এ আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না। কারণ, তাদের প্রধান দাবি আসাদের অপরাসরণ। দ্বিতীয়ত, সিরীয় জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে পশ্চিমারা।
এদিকে সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়েরের আহবানের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে দামেস্ক। সম্প্রতি ৫৮টি দেশ এ ব্যাপারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান নাভি পিল্লাইও গত শুক্রবার সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধ অভিযোগের তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মুয়ালেম জানান, বর্তমান সরকারই আগামী তিন মাসে আলোচনা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষেত্র তৈরির কাজ করবে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে তিনি বলেন, 'প্রশ্ন হলো, সহিংসতা বন্ধ না হলে কি আমাদের আলোচনায় বসা উচিত হবে কি না? আমি বলব, আলোচনায় বসতে হবে।' তবে মুয়ালেম সতর্ক করে বলেন, 'প্রেসিডেন্টের অবস্থান নিয়ে কারো আলোচনা করার সাহস দেখানো উচিত হবে না, এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।' সিরিয়ার সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানান তিনি।
দামেস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়েরের আহবানের নিন্দা জানিয়ে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, 'বাইরে থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে সিরীয় নাগরিকদের রক্ষা করার দায়িত্ব এড়িয়ে ভুল ধারণা নিয়ে তারা (৫৮ দেশ) এ আহবান জানিয়েছে।'
প্যারিসে বিরোধীদের বৈঠক : ন্যাশনাল কোয়ালিশনের নেতারা তাঁদের সমর্থক দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী ২৮ জানুয়ারি বৈঠকে বসবেন। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এ বৈঠক হবে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফ্রাবিয়া গতকাল রবিবার ইউরোপ ওয়ান রেডিওকে এ কথা জানান। তবে এর বাইরে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.