ছাত্রলীগ কর্মী খুনে ২টি মামলা, গ্রেফতার ৩৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র হামলায় ছাত্রলীগ কমর্ী খুনের ঘটনায় বুধবার মতিহার থানায় দু'টি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় পাশর্্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে অভিয়ান চালিয়ে ৩৪ শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে সোমবার রাতে আরও ১৭ শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিভিন্ন হলের সামনে বিপুল সংখ্যক আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গেছে, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগ কমর্ী ফারম্নক হোসেনের খুনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, বিভিন্ন হলের শিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯ শিবির ক্যাডারের নামোলেস্নখ করে অসংখ্য শিবির ক্যাডারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে মতিহার থানার পরিদর্শক এরশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে শিবিরের ৩৫ নেতাকমর্ীর নামোলেস্নখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬শ' শিবির ক্যাডারকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অপর মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিবির সভাপতি গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক মোবারক, শিবির ক্যাডার আনসার, আহাদ, একরাম, আরিফুল, লিটন, মোজাহিদ, রাজ্জাক, তাফসির, মাহাবুব, মামুন, ময়নুল, রাইজুল, আমিনুল, সজিব, ইসরাফিল, খালেক, রায়হান, সাইফুদ্দিন, ইয়াহিয়াকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় পাশর্্ববর্তী শিবির নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অভিয়ান চালিয়ে নবাব আবদুল লতিফ হল শাখা শিবিরের সভাপতি হাসমত আলী, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শিবির ক্যাডার মনরম্নল আলম, তাহা বক্কর, জাহিদ, আবু আউয়াল, মনজুরম্নল রহমান, শহীদুল ইসলাম, রাসেল, আতাউজ্জামান, মুসত্মাফিজ, মোসাকালিমুলস্নাহ, সোহেল, জাকারিয়া, কিবরিয়াসহ ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার দুপুরে এদের আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আবাসিক হল খোলা থাকলেও মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই বিভিন্ন হলের শিাথর্ীরা হল ছেড়ে চলে গেছে। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রত্যেকটি হলের সামনে বিপুলসংখ্যক আর্মড পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছাত্রলীগ বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় শিবির ক্যাডারদের বিরম্নদ্ধে আরও ৭/৮টি মামলা দায়ের করবে বলে সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মতিহার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মৃণাল কানত্মি রায় দু'টি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ খুনীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
২৮ জন রিমান্ডে এদিকে গ্রেফতারকৃত ৩৪ শিবির ক্যাডারের মধ্যে ২৮ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মতিহার থানায় দায়েরকৃত পৃথক দু'টি মামলায় পুলিশ গ্রেফতারকৃত ৩৪ জনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ বুধবার বিকেলে রাজশাহীর অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রম্নহুল আমিনের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ২৮ শিবির ক্যাডারের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর দেবেন্দ্র নাথ দাস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে বাকি ৬ জনকে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

No comments

Powered by Blogger.