শিবিরের পৈশাচিক তান্ন্ডবের নিন্দা প্রতিবাদ

 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের পৈশাচিক তা-বের প্রতিবাদে দেশব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কতর্ৃক ছাত্রলীগ কমর্ীদের ওপর অতর্কিতে বর্বর হামলা-নির্যাতন,
হত্যা এবং রগ কেটে আজীবনের মতো পঙ্গু করে দেয়ার পেছনে নিজামীর ইন্ধন ছিল বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রদত্ত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। বুধবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে ,দেশের সুধী সমাজ নিজামী রাজশাহী থেকে ঘুরে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই লোমহর্ষক ঘটনাগুলো ঘটাতে এতে তারই ইন্ধন ও উস্কানি ছিল বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রসত্ম করার জন্যই নিজামী দেশে অরাজকতা সৃষ্টির বস্নুপ্রিন্ট শিবিরের মাধ্যমে বাসত্মবায়ন করতে চান বলেও বিবৃতি প্রদান করা হয়। অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে দায়ী শিবির কমর্ীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মি প্রদানের জন্যও সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হত্যাকা-ের ঘটনা জামায়াত-শিবিরের হত্যা ও রগ কাটার রাজনীতির পুনরাবৃত্তি বলে বিবৃতি প্রদান করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মলিস্নক। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, নব্বই দশকে জামায়াত-শিবির একই কায়দায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গান পাউডার দিয়ে আগুন লাগিয়ে ছাত্র মৈত্রীর নেতা শহীদ জুবায়ের চৌধুরী হিমু এবং দেবাশিষ ভট্টাচার্য রম্নপমকে হত্যাসহ বহু প্রগতিশীল ছাত্রকমর্ীদের রগ কেটে পঙ্গু করেছিল। দেশে যখন যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রন্তুতি চলছে এবং হাইকোর্টের রায়ে পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, সেই মুহূর্তে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্যই যুদ্ধাপরাধী এবং স্বাধীনতারিরোধী বলে চিহ্নিত চক্রটি এ ধরনের অপতৎরতায় লিপ্ত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে মনত্মব্য করা হয়।
সন্ত্রসবিরোধী ৬ ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে ছাত্রমৈত্রী সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক বিপস্নব রায় পৃথক বিবৃতিতে শিবিরের দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মির দাবি করেন। একই সঙ্গে ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করার জামায়াত-শিবিরের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরম্নদ্ধে দেশের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হবারও আহ্বান জানানো হয়।
ছাত্রমৈত্রীর উদ্যোগে রাজশাহীতে শিবিরের তা-বের প্রতিবাদে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদসভায় বক্তারা দুভাগ্যজনক হলেও সত্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিৰা প্রতিষ্ঠানে সরকারী ছাত্র সংগঠনের অনত্মর্কলহই এসব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে অপতৎপরতায় লিপ্ত হবার সুযোগ করে দিয়েছে বলে মনত্মব্য করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ করবে উলেস্নখ করে সবাইকে এই অপশক্তির মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানানো হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী তা-বের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মির দাবি জানিয়েছেন বাংলা একাডেমী আয়োজিত মহান একুশে বইমেলা ২০১০, বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টারের ১০১ জন লেখক, প্রকাশক, কবি এবং সাহিত্যিকবৃন্দ। যৌথ বিবৃতিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা নিহত ছাত্রলীগ কমর্ী, রগকাটা এবং আহত অর্ধশতাধিক কমর্ীদের ওপর হামলায় জড়িত শিবির কমর্ীদের, তাদের গডফাদারসহ গ্রেফতার ও শাসত্মি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় একুশে বইমেলার প্রকাশক, লেখক কবি, সাহিত্যিক সকলে মিলে একযোগে পতিরোধ গড়ে তুলবেন বলে বিবৃতিতে উলেস্নখ করেন।
বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের পৰ থেকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের শাসত্মি দাবি করা হয়।
রাবি হত্যার পেছনে নিজামীরই ইন্ধন ছিল বলে বাংলাদেশ ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা থেকে মনত্মব্য করা হয়েছে। রবিবার রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে জামায়াতের সমাবেশে নিজামীর উস্কানিমূলক বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে তা-বলীলা চালায় তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে মনত্মব্য করা হয়। মুফতি মাসুম বিলাস্নহর সভাপতিত্বে অনুিষ্ঠত প্রতিবাদসভায়,আব্দুস সাত্তার, আবুল কাশেম জেহাদী, বাকি বিলস্নাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.