সিলেট-রাজশাহী- সিলেটের নায়ক চিগুম্বুরা

প্রথম ম্যাচে ৯৯ রান করেও জিতে গিয়েছিল দুরন্ত রাজশাহী। কাল ১৪৭ করেও পারল না। প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে শন আরভিন নিশ্চিত করেছিলেন জয়। কাল ইনিংসের ১৭তম ওভারে ১৮ রান দিয়ে ম্যাচটা যেন তিনিই তুলে দিলেন সিলেট রয়্যালসের হাতে! দুরন্ত রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এবারের বিপিএলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল সিলেট রয়্যালস।
অথচ ইনিংসের অর্ধেকটা সময়জুড়ে সিলেট রয়্যালসের ‘চিয়ার লিডার’রা নাচার সুযোগ পেয়েছিলেন কমই। ৬৩ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর হ্যামিল্টন মাসাকাদজার চেষ্টাও থেমে গেছে দলকে ৮০ রানে রেখে। কিন্তু নাজমুল হাসান (মিলন) ও এল্টন চিগুম্বুরার অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানের সপ্তম উইকেট জুটি ঘুরিয়ে দিল ম্যাচ। আবুল হাসানের নো বলের সুবাদে জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে একবার ক্যাচ হয়েও বেঁচে গেছেন নাজমুল। ওই ওভারেই পায়ে ব্যথা পেয়ে উইকেটে বসে শুশ্রূষা নিয়েছেন বেশ খানিকটা সময়। অদম্য নাজমুল (২২ বলে ৩৩) তবু ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে আরভিনকে বাউন্ডারি মেরে নিশ্চিত করেছেন জয়।
তবে সিলেট রয়্যালসের টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা চিগুম্বুরার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের। বোলিংয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট। পরে ২১ বলে অপরাজিত ৪৩ করে ম্যাচ-সেরা। জিয়ার করা ইনিংসের ১৮তম ওভারে আসা ১৪ রানের ১২-ই তাঁর ব্যাট থেকে।
দুরন্ত রাজশাহীর ইনিংসের আলোকিত অংশ জহুরুল ইসলামের ইনিংসটা। ম্যাচের আগে প্যাড-ট্যাড না পরেই ছক্কা মারার প্র্যাকটিস করছিলেন ড্রেসিংরুমের সামনে। পরে ম্যাচে মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীকে মিড উইকেট দিয়ে মাত্র একটা ছক্কা মারলেও ওই এক ছক্কা আর পাঁচ বাউন্ডারির ৫০ রানের ইনিংস দিয়ে জহুরুলই দুরন্ত রাজশাহীর রানটাকে লড়াই করার মতো জায়গায় নিয়ে যান। নইলে শুরুতে ভালোই ধাক্কা দিয়েছিল সিলেট। সোহাগ গাজীর নতুন বলের অফ স্পিনে প্রথম বলেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে দিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিজের পরের ওভারে মুক্তার আলীকেও কট বিহাইন্ড করে সোহাগ যেন হয়ে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের সোহাগ!
৩ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট নেওয়া সোহাগের প্রথম স্পেলের পর কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রাজশাহী। জহুরুলের ৩৮ বলে ফিফটি, মঈন আলীর সঙ্গে তাঁর ৬৩ রানের জুটি এগিয়ে গেছে ওই সময়ই। তবে মাঝে মাঝেই আঘাত হেনে পথটাকে আর মসৃণ রাখলেন না এল্টন চিগুম্বুরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দুরন্ত রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৪৭/৮ (তামিম ০, মুক্তার ৬, মঈন ২৪, জহুরুল ৫০, জিয়া ২১, আরভিন ১৫, ফরহাদ ১১*, হাসান ০, নাঈম জুনিয়র ৫। সোহাগ ২/৩৩, ন্যানেস ০/২৭, নবী ১/১৮, সোহরাওয়ার্দী ১/২৮, চিগুম্বুরা ৩/২১, স্টার্লিং ০/৯)। সিলেট রয়্যালস: ১৯.১ ওভারে ১৫০/৬ (মমিনুল ০, স্টার্লিং ১৪, মুশফিক ২২, মাসাকাদজা ১৬, নবী ৩, সোহরাওয়ার্দী ৭, নাজমুল মিলন ৩৩*, চিগুম্বুরা ৪৩*। ফরহাদ ১/৫, মনির ১/৩১, তাইজুল ২/২০, নাঈম জুনিয়র ২/১৭, হাসান ০/৩৮, আরভিন ০/২২, জিয়া ০/১৪। ফল: সিলেট রয়্যালস ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এল্টন চিগুম্বুরা।

No comments

Powered by Blogger.