শুরুতেই কেপ ভার্দে চমক

ক্যামেরুনের মতো পরাশক্তিকে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেওয়াটাই ছিল তাদের জন্য বড় চমক। আফ্রিকান নেশনস কাপের ২৯তম আসরের শুরুতেও চমক দেখাল কেপ ভার্দে।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খেলতে নেমে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটি পরশু উদ্বোধনী ম্যাচে গোলশূন্য রুখে দিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ২০১০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ ও ফাইনালের আয়োজক ছিল জোহানেসবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়াম। সেই সকার সিটিতেই উদ্বোধন হলো আফ্রিকার মহাদেশীয় ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসরের। ২০১০ বিশ্বকাপের স্মৃতিটাকেই যেন ফিরিয়ে আনে ভুভুজেলার কানফাটা শব্দ। বাফানা বাফানাদের উৎসাহ দিতে প্লাস্টিকের ওই বাদ্যযন্ত্র নিতে ভুল করেনি দক্ষিণ আফ্রিকার দর্শকেরা। কিন্তু এই ভুভুজেলা-অনুপ্রেরণা জেতাতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
১৯৯৬ সালে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র শিরোপাটি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল স্বাগতিক হিসেবেই। ১৬ বছর পর এবার আবার যখন টুর্নামেন্টটা নিজেদের আঙিনায়, দক্ষিণ আফ্রিকানরা দ্বিতীয় শিরোপার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু তাদের শুরুটা কিনা হলো কেপ ভার্দে নামের ‘পুঁচকে’ দলের সঙ্গে ড্র দিয়ে! আফ্রিকার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পাঁচ লাখ মানুষের দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্দে।
শুধু প্রথম ম্যাচটিই নয়, পরশু উদ্বোধনী দিনটিই আসলে কেটেছে গোল-খরায়। সকার সিটিতে দ্বিতীয় ম্যাচে অপেক্ষাকৃত আক্রমণাত্মক এবং কৌশলী ফুটবল খেলেছে অ্যাঙ্গোলা ও মরক্কো। কিন্তু ফল একই, গোলশূন্য ড্র। গোল-খরার উদ্বোধনী দিন শেষে তৃপ্ত মূলত একজনই, কেপ ভার্দের কোচ লুসিও আন্তুনেস। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসটা প্রকাশও করেছেন এই কোচ, ‘আমার কাছে এটা ছিল মিশন সফল করার বিষয়। দল অসাধারণ খেলেছে। আমরা তা-ই করেছি, যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা এসেছি। এখন আমরা মরক্কোর বিপক্ষে পরের ম্যাচটার জন্য মনোযোগ ধরে রাখতে পারব। আমি খুশি, আমার খেলোয়াড়েরা খুশি এবং টেকনিক্যাল স্টাফ খুশি। আমরা আজ আমাদের দেশকে সম্মানিত এবং গর্বিত করেছি।’
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাম্বিয়া মাঠে নামছে আজ। প্রতিপক্ষ ইথিওপিয়া। আরেক ম্যাচে নাইজেরিয়ার মুখোমুখি হবে বুরকিনা ফাসো। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.