জিয়াকে দেখতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী ॥ সুন্দরবনে দস্যু দমনে র‌্যাব-কোস্টগার্ডর অভিযান, রেড এ্যালার্ট

 পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চরপুটিয়া এলাকায় শুক্রবার দুপুরে বনদস্যু মোর্তজা বাহিনীর গুলিতে আহত সাব সেক্টর কমান্ডার ও দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মেজর (অব) জিয়া উদ্দিনকে দেখতে দুপুরে স্কয়ার হাসপালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারদের কাছে তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। মেজর জিয়ার মুখ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। এদিকে সুন্দরবনে গুলিতে মেজর জিয়া আহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর ভাগ্নে শাহানুর রহমান শামীম শনিবার রাতে মংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। দস্যু দমনে সুন্দরবনে দু’দিন ধরে চলা র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের অভিযানে এখনও কোন বনদস্যু আটক হয়নি। উদ্ধার হয়নি নিহত ৪ বনদস্যুর লাশ। বনদস্যুদের সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় শনিবার পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে রেড এ্যালার্ট জারি করে বন বিভাগের অফিসগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে রবিবার দুবলা জেলেপল্লীতে জেল-বহদ্দার-মহাজন ও বাওয়ালীরা মেজর জিয়ার ওপর হামলাকারীদের ফাঁসি ও দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের দাবিতে মিছিল সমাবেশ করেছেন। তারা সশস্ত্র দস্যুদের বর্বর অত্যাচার ও জেলে-বাওয়ালীদের জিম্মিদশার নানা চিত্র তুলে ধরে দস্যুদের দমনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, মেজর জিয়া বন ও জলদস্যুদের দমনে নিরলস সোচ্চার থাকায় তাঁকে হত্যার জন্য পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার দুপুরে হামলা চালানো হয়েছিল।
সুন্দরবনে জেলে বাওয়ালীদের প্রিয় মানুষ মেজর জিয়া বনদস্যুদের হাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গোটা সুন্দরবনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপকূলের বিভিন্ন মৎস্য বন্দর থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, দস্যু আতঙ্কে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কয়েক শ’ ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূল ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মৎস্যবন্দরগুলোতে এসেছে। বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজারে সুন্দরবনসহ উপকূল থেকে ফিরে আসা জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেজর জিয়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দস্যুরা যে কোন সময় হামলা চালাতে পারে এমন আতঙ্কে মহিপুর, আলীপুর, পাড়েরহাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মংলা ও বাগেরহাটে গতকাল কয়েক শ’ ট্রলার এসে নোঙ্গর করেছে। উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শেখ ইদ্রিস আলী জানান, নিরাপত্তার অভাবে কয়েক শ’ ট্রলার উপকূলের মৎস্য বন্দরগুলোতে ফিরে এসেছে। তিনি অবিলম্বে মেজর জিয়ার ওপর হামলাকারী বনদস্যুদের গ্রেফতারসহ উপকূলে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার দাবি জানান। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও আমীর হুসাইন চৌধুরী জানান, সুন্দরবনে তাঁর বিভাগের সব অফিসে বনদস্যুদের সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আ’লীগ নেতার খুনীদের খুঁজে বের
করার নির্দেশ ॥ টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী রবিবার ফারুক আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রকৃত দু®কৃতকারীদের খুঁজে বের করার ও তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বাসসর।

No comments

Powered by Blogger.