ভয়কে জয় করতে হবে ॥ ডাক্তারের পরামর্শ- ডা. মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন শিশু শল্যবিদ ও সার্জন আইচি হসপিটাল লি. ঢাকা

আজকাল পরীক্ষা মানেই মহারণ, সেটি হোক পিএসসি, জেএসসি কিংবা এসএসসি-এইচএসসি। বিশেষ করে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে মা-বাবার মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দেখে সন্তানরাও বাড়তি চাপে থাকে, তারা নার্ভাস ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
এ জাতীয় প্রেসার থেকে টেনশনজনিত রোগ; গ্যাসট্রিক, হাইপ্রেসার ও হার্টবিট বৃদ্ধিসহ ঘুম কম (ওহংড়সহরধ) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বেশি নার্ভাসনেস থেকে ব্রেনের কার্যকারিতা হ্রাস পায় ও স্মৃতিশক্তি লোভ পায়। ফলে মা-বাবার উচিত মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকা। দুশ্চিন্তা কিছুটা থাকবে, এটা বলাবাহুল্য। কিন্তু তা যেন পরীক্ষার্থী বুঝতে না পারে কিংবা তাকে যেন এটা প্রভাবিত না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আর প্রস্তুতি যেমনই হোক, বেশি রাত করে পড়া যাবে না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও গ্যাসট্রিক নার্ভাসনেস ইত্যাদি হতে পারে। বিশেষ করে এতে অল্পতেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ফলে পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীর মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব দেয়া উচিত। পরীক্ষার সময় কিংবা তার আগেও পড়াশোনা স্বাভাবিক রাখতে মাথা ঠা-া রাখা খুবই জরুরী। এ ক্ষেত্রে সময়মতো ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। খাদ্য তালিকায় ফ্রেশ জুস রাখা যেতে পারে। বিশেষ করে পরীক্ষার্থীর নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর খাবার রাখতে দুধ, ডিম ও সবজি জাতীয় গ্রিন ফুড দেয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে পরীক্ষার আগের রাতে অতিরিক্ত ঝাল ও চর্বি জাতীয় খাবার ও শুকনো খাবার পরিহার করা ভাল। অতিরিক্ত ঠা-া গরম এবং সিজন পরিবর্তনের সময় অল্পতেই ঠা-াজনিত রোগসহ অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা পেতে সাবধান থাকতে হবে। ঝুঁকি এড়াতে নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক না নেয়া থাকলে তা নেয়া যেতে পারে। অযথা কিংবা মাত্রাতিরিক্ত কোন মেডিসিন গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত।

No comments

Powered by Blogger.