নেত্রকোনায় কলেজছাত্রী হবিগঞ্জে ২০ ঘণ্টা আটকে রেখে শ্রমিককে ধর্ষণ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণে জড়িত আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হবিগঞ্জে এক শ্রমিককে ২০ ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করেছে নরপশুরা। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মহিলাকে শ্লীলতাহানি করেছে এক বখাটে। খবর সংবাদদাতা ও নিজস্ব সংবাদাতাদের। কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রী বুধবার দুপুরে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে কমলপুর গ্রামে যাচ্ছিল। এ সময় তার পূর্ব পরিচিত গড়াডোবা ইউনিয়নের কাটাবসিয়া গ্রামের এলাই নেওয়াজ খাঁর ছেলে আলমগীর (বিবাহিত) তাকে প্রাইভেট টিউটরের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। পরে তাকে কমলপুরে না নিয়ে জোর করে প্রথমে পার্শ¦বর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী এবং পরে শ্যামগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কেন্দুয়া উপজেলার বাঁশাটি বাজারে তার (আলমগীরের) বন্ধু কমল মিয়ার কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে যায়। কমল মিয়ার সহায়তায় আলমগীর মেয়েটিকে ওই দোকানে আটকে রেখে প্রথমে দুই দফা ধর্ষণ করে। পরে গভীর রাতে আলমগীর এবং তার বন্ধু কমল মিয়া আবারও তাকে দু’দফা ধর্ষণ করে। পরদিন (বৃহস্পতিবার) সকালে আলমগীর ওই ছাত্রীকে নিয়ে আঠারবাড়ী বাজারে তার দুলাভাই আল্-আমিনের কাছে নিয়ে যায়। ছাত্রীর কাছে বিস্তারিত জানতে পেরে আল্-আমিন এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাটি আঠারবাড়ী ফাঁড়ির পুলিশকে জানায়। পরে আঠারবাড়ী ফাঁড়ির পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে আল-আমিনের সহযোগিতায় ধর্ষক আলমগীরকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার রাতে ধর্ষিতা ছাত্রী বাদী হয়ে ধর্ষক আলমগীর এবং কমল মিয়াকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) অভিরঞ্জন দে জানান, শনিবার আলমগীরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া একই দিন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অপর ধর্ষক কমল মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, হবিগঞ্জের জেলার মাধবপুর উপজেলাধীন নোয়াপাড়ার সায়হাম টেক্সটাইল মিলের এক মহিলা শ্রমিক। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ওঁৎ পেতে থাকা পূর্ব ভেঙ্গাডুবা গ্রামের ছানা মিয়ার বখাটে পুত্র রুবেল ও তার অপর কয়েক সঙ্গী ওই যুবতী শ্রমিকের পথরোধ করে। এক পর্যায়ে মুখ বেঁধে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রুবেলের বাড়িতে। সেখানে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে যুবতীকে পান করানো হয় জুস। ফলে এই যুবতী অচেতন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে রুবেল ও তার সহযোগীরা যুবতীকে একে একে ধর্ষণ করে। ২০ ঘণ্টা এই বাড়িতে আটকে রেখে থেমে থেমে ধর্ষণে অংশ নেয় নরপশুরা। পরে যুবতীর জ্ঞান ফিরলেও মুখ বন্ধ থাকায় চিৎকার করতে পারেনি। এভাবে বৃহস্পতিবার সারারাত ও শুক্রবার দিনভর চলে যুবতীর ওপর নির্যাতন। এদিকে দু’দিনেও ওই মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় তার পিতা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু নরপশুরা উল্লাসে মত্ত থাকার সুযোগে যুবতীটি মোবাইলে তার পিতাকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা অবহিত করে। তাৎক্ষণিক তার পিতা বিষয়টি জানান শ্যামল ব্যানার্জী নামে এক মেম্বারকে। এই মেম্বার শুক্রবার রুবেলের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষিতা যুবতীকে বেরিয়ে আসার সুযোগ দিতে বলে। এ সময় রুবেল রাত ১০টা পর্যন্ত সময় চায়। কিন্তু মেম্বার তাতে অসম্মতি জানিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে যুবতীকে ছেড়ে দিতে বলে। উপায়ন্তর না পেয়ে রুবেল যুবতীটির মুখ ও হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে সকলকে নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এ ফাঁকে যুবতী বের হয়ে আসলে মেম্বারসহ অন্যরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে মাধবপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতিতে ডাক্তার তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ধর্ষিতা যুবতী চিকিৎসাধীন অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এদিকে নরপশুদের হুমকির কারণে ধর্ষিতার পিতা-মাতা এখন ভীতি ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সন্তানকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এক মা। এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে উপজেলার মেকুরটারী গ্রামের আব্দুল গাফফারের স্ত্রী নুসরাত জাহান (৩৫) তার সন্তানকে শিশু নিকেতন রাজারহাট বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে হেঁটে বাড়িতে পৌাঁছার পথে বিদ্যালয়ের নিকটে একটি পানের দোকান অতিক্রম করার সময় আকস্মিক ওই পানের দোকানি আবুসাইদ (৪০) মহিলাটির শরীরে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় মহিলাটি কান্নাকাটি করলে ওই বখাটে পালিয়ে যায়। পরে দুপুরে ওই মহিলা বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় একটি মামলা করেন।

No comments

Powered by Blogger.