সারাদেশে ভোগান্তি ॥ পেট্রোলপাম্পে ধর্মঘট চলছে- সরকারের সঙ্গে আজ বৈঠক

 সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পেট্রোলপাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক এবং শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারে সরকার পক্ষে রাত পর্যন্ত কোন আলোচনা হয়নি। এদিকে ধর্মঘটের কারণে সারাদেশে জ্বালানি তেল বিপণন এবং পরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আজ বিকেলে মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান।
আগে থেকেই ধর্মঘটের বিষয়টি জানায় দূরপাল্লার পরিবহন মালিকরা অতিরিক্ত তেল সংগ্রহ করে রাখায় রবিবার তেমন সমস্যা হয়নি। তবে ধর্মঘট দীর্ঘায়িত হওয়া নিয়ে পরিবহন মালিকরা সংশয় প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, মজুদ তেলে এক থেকে দুদিন চলতে পারে। কিন্তু ধর্মঘটের স্থায়িত্ব এর বেশি হলে সারাদেশে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে রাজধানী ঢাকাতে অধিকাংশ পরিবহন সিএনজিচালিত হওয়ায় তেমন সমস্যায় পড়তে দেখা যায়নি। রবিবার রাজধানীর কিছু পেট্রোলপাম্প ঘুরে বিপণন থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও তেল নিতে এসে ক্রেতাকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে রবিবার বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন পেট্রোলপাম্পের ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জনিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। দাবি মানা না হলে সিএনজি ব্যবসায়ীরাও ধর্মঘটে যাবে বলে সংগঠনটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
রবিবার রাতে পেট্রোলপাম্প ও ট্যাঙ্কলরির মালিক এবং শ্রমিক ঐক্যপরিষদের মহাসচিব হারুন অর রশিদ জনকণ্ঠকে জানান, এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আলোচনার জন্য আহ্বান জানানো হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.