২৪ জানুয়ারি ১৪ দলের মানববন্ধন কর্মসূচী

আগামী ২৪ জানুয়ারি দেশব্যাপী এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে এবং বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সারাদেশে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এ কর্মসূচী পালন করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এই আদর্শিক রাজনৈতিক জোটটি।
ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে মানববন্ধনের মাধ্যমে মানবপ্রাচীর গড়ে তুলবে ১৪ দল।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মানববন্ধন কর্মসূচীতে জনস্রোত নামানোর ঘোষণা দিয়েছে চৌদ্দ দল। ঢাকা মহানগরীর মানববন্ধনের রুট হলো- গাবতলী থেকে শ্যামলী, আসাদ গেট, ধানম-ি ২৭ নম্বর, রাসেল স্কয়ার, পান্থপথ, বসুন্ধরা, সোনারগাঁও, শাহবাগ, হাইকোর্ট, পল্টন, শহীদ নূর হোসেন চত্বর, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ, ইত্তেফাক, রাজধানী মার্কেট, সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত।
রবিবার সন্ধ্যায় ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, নূহ-উল-আলম লেনিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বর্ধিতসভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন সামরিক আদালতের রায় নয়, এটা নিয়ে আপীলের সুযোগ আছে। অত্যন্ত স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ বিচার হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে জামায়াতের মহিলা আমির হয়ে মাঠে নেমেছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিভিন্ন শক্তির কাছে তাঁরা ধর্ণা দিচ্ছে। প্রযুক্তি-কুযুক্তি ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু এটি আজ চূড়ান্ত পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলার মাটিতেই এ বিচার কাজ সম্পন্ন হবেই হবে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বর্তমান সরকার শুরু করেছে। অনেকের বিচার শেষ পর্যায়ে। আজ সোমবার একজনের রায় ঘোষণা হবে। পর্যায়ক্রমে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হবে, জনগণের প্রত্যাশিত রায়ই হবে। তিনি বলেন, বিরোধী দলের সকল আন্দোলনের দুটি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা আর খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির বিচার থেকে রক্ষা দেয়া। তিনি আগামী ২৪ জানুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচীতে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আজ সোমবার যুদ্ধাপরাধী একজনের রায় ঘোষণার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে আজ মাঠে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৪ জানুয়ারির মানববন্ধন কর্মসূচী সফল করতে আজ সোমবার বেলা ১১টায় ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নগর ১৪ দলের বিশেষ বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বিকেল ৫টায় ঢাকা মহাগরের ১৬ সংসদ সদস্যদের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বৈঠক করবেন।

No comments

Powered by Blogger.