প্রস্তুতি হতে হবে পরিকল্পিত- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমামুল হুদা অধ্যক্ষ রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ

পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে চূড়ান্ত প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কিছুটা পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে। যেমন, প্রথমে রিভিশন রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী অপেক্ষাকৃত দুর্বল চ্যাপ্টারগুলোর ঝালাই ও সবগুলো আগাগোড়া পড়তে হবে।
বিশেষ করে নিজেই নিজের মডেল টেস্ট নিতে হবে। টেস্ট অবশ্যই সময় ধরে নিতে হবে। এরপর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিজেই নিজের পরীক্ষাপত্র মূল্যায়ন করবে এবং সে মতে ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো আলাদাভাবে নোট করে বার বার পড়বে। অতি উৎফুল্ল হওয়া যাবে না : অনেক শিক্ষার্থী প্রশ্ন কমন পড়েছে বা সহজ হয়েছে দেখে অতি উৎফুল্ল হয়ে কিছুটা ধীরগতি হয়ে পড়ে এবং উত্তর লিখতে বিলম্ব করে এবং শেষ পর্যন্ত দেখা যায় হাতে আর সময় নেই। তখন তড়িঘড়ি করে উত্তর লিখতে ভুল করে বসে, ফলে অতি উৎফুল্ল হওয়া চলবে না।

প্রয়োজন কাউন্সিলিং : পরীক্ষা চলাকালে যে কোন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের সামাল দিতে পারে সেজন্য শিক্ষক কিংবা অভিভাবকদের উচিত সম্ভাব্য পরিস্থিতি অনুযায়ী তার সমাধান সংক্রান্ত কাউন্সিলিং প্রদান করা। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই আছে, যারা গোল্ডেন এ প্রাপ্তির ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত, তারা প্রশ্ন হাতে নিয়ে যদি দেখে যে প্রথম প্রশ্নটিই আনকমন, সেক্ষেত্রে ঘটতে পারে অনেক অঘটনই! তাই সেসব মুহূর্ত যাতে তারা সুন্দরভাবে মোকাবেলা করতে পারে সেজন্য তাদের বুঝাতে হবে।

বিশেষ কিছু পরামর্শ: পরীক্ষার হলে রচনামূলক প্রশ্ন লেখার ক্ষেত্রে মোট সময়কে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করে নিতে হবে। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রশ্ন পড়ার জন্য ৫ মিনিট, প্রতি নম্বরের জন্য ২ মিনিট করে ১০০ মিনিট, রিভিশন করার জন্য ১০ মিনিট এবং বিবিধ ৫ মিনিট। এভাবে সর্বমোট ১২০ মিনিট। শারীরিক ও মানসিকভাবে যাতে সুস্থ থাকো সেজন্য পরীক্ষার পূর্ব রাতে বেশি রাত জেগে পড়াশোনা করবে না এবং নতুন কোন পড়া না পড়ে কেবল রিভিশন দিবে ও পরীক্ষার হলে ব্যবহৃত কলম, কালি, বল পয়েন্ট পেন, সাইন পেন, স্কেল, পেনসিল, হাতঘড়ি, প্রবেশপত্র রেজি. কার্ড ইত্যাদি প্রস্তুত করে একটি বক্সে রাখবে। আর পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছবে এবং সিট কোথায় পড়েছে তা খুঁজে বের করবে।

No comments

Powered by Blogger.