টুকটাক- নিজের গল্প আছে তো?

অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে মিনিট পাঁচেকেরও বেশি হয়নি। সনদ আর পুরস্কার বুঝে নেওয়ার লাইনে খুব একটা ভিড় দেখা যাচ্ছে না। তাহলে সবাই গেল কই? খুঁজতে খুঁজতে দেখা গেল সবাই বইয়ের স্টলের সামনে ভিড় করেছে।
সেরা গল্প নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হচ্ছে শুনে নিজের গল্পটি আছে কি না দেখতে ভিড় জমিয়েছে খুদে লেখকেরা। এ রকম একজন তন্ময় দেওয়ান। তাকে যে পেছন থেকে ডাকা হচ্ছে তার সে খেয়ালই নেই। আপনমনে নিজের গল্পটি খুঁজছে বইয়ে। অনেক খুঁজেটুজে দেখল তার গল্পটি নেই। কিন্তু সাবাব আল সাদিদ ও আনান আশরাফীর ভাগ্য ভালো। তারা নিজের লেখা গল্পটি বইয়ে দেখতে পেয়েই দিল ছুট। অভিভাবকের কাছে গিয়ে ‘আরে! আমার লেখা তো বইয়ে ছাপা হয়েছে।’

আগ্রহটা কাদের বেশি?
পুরস্কার দিতে অনুষ্ঠানে এসেছেন বাকের ভাইখ্যাত আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বক্তব্য শেষে আসন ফিরে যাওয়ার সময় নিচ থেকে ‘আবৃত্তি শুনতে চাই’ বলে স্লোগান ধরলেন তাঁরা। আসাদুজ্জামান নূর যখন বললেন, ‘আজকে না হয় নাই করি।’ তখন দেখা গেল তাদের আবদারের মাত্রাটা আরও বেড়ে গেল। শেষমেশ আবদার মেটাতে তিনি আবৃত্তি করলেন। আবদারটা কিন্তু খুদে লেখকদের ছিল না। ছিল তাদের মা-বাবার। আসাদুজ্জামান নূরের প্রতি পুরস্কার নিতে আসা খুদে লেখকদের চেয়ে তাদের মা-বাবাদের আগ্রহটাই বেশি দেখা গেল। আর আবৃত্তি শোনার সময় দেখা গেল একেবারে কান পেতে শুনছেন অভিভাবকেরা। আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে ছবি তোলা, তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়ায় বেশি ব্যস্ত দেখা গেল অভিভাবকদের।

অটোগ্রাফ
মিলনায়তনের বাইরে তখন খাতা-ডায়েরি-কলম নিয়ে অটোগ্রাফ শিকারিদের ভিড়। তারা ঘিরে ধরেছে সংগীতশিল্পী কনা আর আমার বন্ধু রাশেদ চলচ্চিত্রে অভিনয় করা আফনানকে। তবে অটোগ্রাফ শিকারিদের লাইনটা একটু বড়ই। এর মধ্যে জুলকার নাইন নামের একজন ভিড় ঠেলে এসে বলল, ‘আফনান ভাইয়া, আমার বাসা দূরে তো। আমাকে যদি একটু আগে অটোগ্রাফ দেন।’ আফনান তখন উত্তর দেয়, ‘সবাই অটোগ্রাফ পাবে।’

No comments

Powered by Blogger.