সিলেটে জাতীয় ঐক্যের জনসভা- এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না

দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী দুর্নীতি-লুটপাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই দুটি ধারার রাজনৈতিক শক্তিকে ভোট দিয়ে জনগণ বারবার ধোঁকা খাচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে নতুন ধারার শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তবেই এ দেশ বিশ্বে দুর্নীতিমুক্ত আলোকিত বাংলাদেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে।
গতকাল রোববার বেলা তিনটায় সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট চত্বরে জাতীয় ঐক্য মঞ্চের আয়োজিত জনসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করেন তাঁরা।
জনসভায় বক্তৃতা করেন বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নীলেন্দু দেব। এতে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, জাতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান আলী ইসমাইল প্রমুখ। বদরুদ্দোজা চৌধুরী বক্তৃতায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে ভোট হবে না, তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্দলীয় সরকার দিতে হবে। নইলে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, হবে না, হবে না।’
ড. কামাল হোসেন বক্তৃতায় বলেন, ‘হল-মার্ক চার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। এর তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকার কোনো হদিস নেই। আমরা ক্ষমতায় গেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিদেশে পাচার করা এই টাকা দেশে নিয়ে আসা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আর এক মিনিটও ভোটের কারসাজি দেখতে চাই না। মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্রমাগত বেইমানি করে চলেছে বর্তমান সরকার। নিরীহ ছেলে বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে, এর সুষ্ঠু বিচার হতে হবে।’

No comments

Powered by Blogger.