পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সমালোচনায় ব্রিটেন

পশ্চিম তীরের অধিকৃত এলাকায় একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়ায় ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্ট বলেছেন, ইহুদি বসতিতে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি অর্জনের পথে 'নতুন বাধা তৈরি করবে'।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বার্ট ইসরায়েলের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক পশ্চিম তীরের অ্যারিয়েল বসতিতে একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদায় উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেন। পশ্চিম তীরের অধিকৃত এলাকায় এটিই প্রথম ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়।
অ্যারিয়েল বসতিটি ইসরায়েলের সীমান্তরেখা গ্রিনলাইন থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ বসতি অবৈধ।
বিবৃতিতে বার্ট বলেন, 'গ্রিনলাইনের বাইরে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ বসতিতে অ্যারিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ফিলিস্তিনের অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বসতিগুলোতে ইসরায়েলিদের তৎপরতা আরো বাড়বে এবং তা শান্তি অর্জনের পথে বাধা তৈরি করবে। ফিলিস্তিন জাতিসংঘের 'পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের' মর্যাদা পাওয়ার পর ইসরায়েল ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের যে ঘোষণা দিয়েছে, বার্ট তা বাতিলেরও আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো অধিকৃত এলাকায় নতুন বাড়ি তৈরির বিষয়ে ইসরায়েলের পরিকল্পনার সমালোচনা করে আসছে।
এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ এক গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে হারেৎজ পত্রিকা জানায়, ইইউ ২০১৩ সালের মধ্যেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। ইইউর দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তারা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনা চায় না। বরং ফিলিস্তিনের ব্যাপারে তারা দ্রুত স্থায়ী রাষ্ট্রের সমাধান চায়। সূত্র : গার্ডিয়ান।

No comments

Powered by Blogger.