সড়কের পাশ থেকে গর্ত করে মাটি উত্তোলন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় গোয়ালন্দ-ফরিদপুর-তাড়াইল বেড়িবাঁধ সড়কের পাশের একটি জমি থেকে প্রায় এক মাস ধরে খননযন্ত্র দিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি মাটি উত্তোলন করছেন। এতে ওই জমির আশপাশের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে সড়কটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মৈজদ্দিন মোল্লারপাড়া গ্রামের জলিল মোল্লা তাঁর বাড়ির একটি পুকুর ভরাটের জন্য মোন্তাজ মোল্লা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী মোন্তাজ মোল্লা তাঁর দুটি খননযন্ত্র দিয়ে ওই বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে জলিল মোল্লারই ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু করেন।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পাশের ওই জমি খনন করায় গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের ফসলি জমির মাটি গর্তের মধ্যে ভেঙে পড়েছে। তিনজন শ্রমিক সেখানে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শ্রমিকেরা জানান, প্রায় এক মাস ধরে তাঁরা এখানে কাজ করছেন। মোন্তাজ মোল্লা তাঁদের এখানে নিয়ে এসেছেন। এরই মধ্যে ১২ ফুট গভীর করে প্রায় ৮০ হাজার ঘনফুট মাটি তাঁরা উত্তোলন করেছেন। আরও প্রায় ১৫-১৬ দিন তাঁদের মাটি কাটতে হবে।
জমির মালিক জলিল মোল্লা বলেন, বাঁধের পাশ থেকে মাটি কাটলেও সেটি তাঁর মালিকানাধীন জমি। গভীর গর্তের কারণে বাঁধসহ আশপাশের জমির মাটি ভেঙে পড়েছে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির সামনের পুকুর ভরাট করে বসতভিটা নির্মাণের জন্য তিনি মাটি তুলছেন।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ সড়কের পাশ থেকে গর্ত করে মাটি উত্তোলন করায় সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। খননকাজ বন্ধের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছরোয়ার হোসেন বলেন, বাঁধের পাশ থেকে মাটি উত্তোলন করার ঘটনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেখার বিষয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গোয়ালন্দ উপজেলার দায়িত্বে থাকা রাজবাড়ী পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী কাজী কবিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। বাঁধের পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থাকলেও সেই জমি খনন করে মাটি তোলার নিয়ম নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে এ ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

No comments

Powered by Blogger.