টিআইবির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া- শ্রম অভিবাসন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার

দুর্নীতি বিষয়ে নজরদারিমূলক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তবে শ্রম ও অভিবাসন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিদেশগামী কর্মীরা বেসরকারি খাতের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। একে দুর্নীতি বলা যাবে না। কারণ, এতে সরকার জড়িত নয়।’
গতকাল রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। টিআইবির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কিছু বেসরকারি এজেন্ট বিদেশে লোক পাঠায়। যাঁরা ওইসব এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা সংগ্রহ করেছেন, তাঁরাই প্রতারিত হয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই। কারণ, সরকার শুধু ভিসা ঠিক আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে। কে কত টাকা নিচ্ছে, সেটা জানার কোনো ব্যবস্থা সরকারের নেই।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কেউ যদি অভিযোগ করেন যে বিদেশে যাওয়ার সময় তাঁদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে, সেটি তদন্ত করার নিয়ম আছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অভিবাসন খরচ কমাতে এখন আমরা সরকারিভাবে লোক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারি খরচে মালয়েশিয়া যেতে ৪০ হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু অভিযোগ এসেছে, দালালেরা ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।’ এ ব্যাপারে বিদেশগামী ব্যক্তিদের সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
জাতীয় খানা জরিপ ২০১২-এর ফলাফল বিশ্লেষণ করে গত শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফল উপস্থাপন করা হয়। সেখানে টিআইবি বলেছে, দেশের ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ সেবা গ্রহণকারী কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত শ্রম অভিবাসন। তবে তাদের আগের খানা জরিপের তুলনায় ২০১২ সালে প্রায় প্রতিটি খাতেই দুর্নীতি ও হয়রানি কমেছে।

No comments

Powered by Blogger.