মালালার ওপর হামলা- দুঃখ প্রকাশ করলেন সন্দেহভাজন এক হামলাকারীর বোন

নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীদের একজনের বোন ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মালালার মস্তিষ্কে শিগগিরই আরেক দফা অস্ত্রোপচার করা হবে বলেও জানা গেছে।


টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনকে গত রোববার সন্দেহভাজন হামলাকারী আত্তাহ উল্লাহ খানের (২৩) বোন রেহানা হালিম পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় একটি একান্ত সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কৃতকর্মের জন্য আমি যে দুঃখ প্রকাশ করছি, সেই বার্তা অনুগ্রহ করে মালালার কাছে পৌঁছে দেবেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, তারা আত্তাহ উল্লাহ খান এবং আরও দুই যুবককে খুঁজছে। তবে এ দুই যুবকের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
সাক্ষাৎকারে রেহানা হালিম বলেন, ‘সে (ভাই) যা করেছে তা অগ্রহণযোগ্য। মালালা যেন আমারই বোন। আমার পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে আমি মালালার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে চাই। আমি আশা করি, সে শিগগির সুস্থ হয়ে উঠবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।’
রেহানা আরও আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘মালালা আমাকে ও আমার পরিবারকে শত্রু বলে বিবেচনা করবে না। এ ছাড়া, আত্তাহ উল্লাহকে আমি আমার ভাই বলেও আর মনে করি না।’
সোয়াতের মিংগোরা শহরের উপকণ্ঠে ওয়ারহি মাস্ত মালিক আবাদ গ্রামের নিজ বাসা থেকে সিএনএনকে রেহানা সাক্ষাৎকারটি দেন।
আরেক দফা অস্ত্রোপচার: যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ বছরের মালালাকে আরেক দফা অস্ত্রোপচার করা হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত জামিল আহমদ খান জানান, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই অস্ত্রোপচার হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চিকিৎসকেরা মালালার মস্তিষ্কের ক্ষত কমে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এর পরই তাঁরা তার খুলিতে লাগানো প্লাস্টার সরিয়ে ফেলার প্রস্তুতি নেবেন। তিনি আরও জানান, মালালা এখন হাঁটাচলা, কথাবার্তা, এমনকি পড়তেও পারছে।
ওদিকে, ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে সোমবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক কেভিন বোলগার দেখা করে তাঁকে মালালার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত করেছেন। তিনি তাঁকে জানান, মালালার শারীরিক অবস্থা এখন সন্তোষজনক রয়েছে এবং সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে পরিপূর্ণ সুস্থ হতে তার আরও কিছুটা সময় লাগবে। সিএনএন, খালিজ টাইমস ও দ্য নিউজ।

No comments

Powered by Blogger.