শেষ হলো এএসইএম সম্মেলন

১৬ দফা ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী নবম এশিয়া-ইউরোপ মিটিং শীর্ষ সম্মেলন (এএসইএম-৯) গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এশিয়া ও ইউরোপের ৫২টি সদস্য দেশের জনগণের স্বার্থে সত্যিকার ও স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এবং মানবজাতি থেকে যুদ্ধ নির্মূলের আকাঙ্ক্ষাকে নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর বাসস ও ইউএনবির।


ঘোষণায় সদস্য দেশগুলোতে শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী অংশীদারি গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এশিয়ার ২০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, ইউরোপের ২৯টি দেশ, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং আসিয়ানের মহাসচিব এ বছর সম্মেলনে যোগ দেন। এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘শান্তির জন্য বন্ধু, সমৃদ্ধির জন্য অংশীদার।’
ঘোষণায় এএসইএম নেতারা এশিয়া ও ইউরোপে শান্তি, স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে উন্নত পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অংশীদারি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড সংস্থার নতুন সদস্য হওয়ায় এএসইএম নেতারা স্বাগত জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে নবম এএসইএম সম্মেলনের চেয়ারম্যান ও লাও (লাওস) পিডিআরের প্রধানমন্ত্রী থংসিন থামাভং, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী ইলিও ডি রুপো বক্তৃতা করেন। শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ, লাওসের প্রেসিডেন্ট চোমালি সায়াসোন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভ্যান রম্পু ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে ম্যানুয়েল বারোসো অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালে এএসইএমের পরবর্তী সম্মেলন বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষি গবেষণা চালুর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর: সম্মেলনের শেষ দিনে এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে এএসইএমের অধীনে ব্যাপক পরিসরে কৃষি গবেষণা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তাব করেন।
প্রধানমন্ত্রী এশিয়া-ইউরোপের নেতাদের প্রতি মানবজাতিকে রক্ষায় বৈশ্বিক সমঝোতা প্রক্রিয়া, পরিকল্পনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যু মোকাবিলার ঘোষণায় আরও গুরুত্বারোপের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান জেন্ডার ডাইমেনশনের উল্লেখ করে বলেন, এই সংকট মোকাবিলায় অভিযোজন ব্যয় বৃদ্ধির পাশপাাশি খাদ্য, পশুসম্পদ ও মৎস্য উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে।
আজ দেশে ফিরছেন: প্রধানমন্ত্রী আজ দেশের উদ্দেশে ভিয়েনতিয়েন ত্যাগ করছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় বাত্যায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ পৌঁছানোর কথা।

No comments

Powered by Blogger.