১৭ নম্বর কূপে ড্রিলিং শুরু আগামী বছরের ডিসেম্বরে গ্যাস সঙ্কট হ্রাস পাবে

আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ সারা দেশে গ্যাস সঙ্কট বহুলাংশে হ্রাস পাবে। এ সময়ের মধ্যে জাতীয় গ্যাস গ্রিডে অন্তত ২শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড ও রাশিয়ান গ্যাস কোম্পানি গ্যাস ফ্রম এসব কূপ খনন করবে।


ইতোমধ্যে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের নিজস্ব অর্থায়নে তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৭নং কূপের ড্রিলিং কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে ড্রিলিং কাজ শুরু হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সূত্র জানায়, গ্যাস সঙ্কটের কথা বিবেচনা রেখেই বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড ৭টি কূপ খননের উদ্যোগ নেয়। তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৭ ও ১৮নং গ্যাস কূপ খননের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। (১৯ পৃষ্ঠা ৪ কঃ দেখুন) আগামী বছরের
(২০-এর পৃষ্ঠার পর
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও কর্মকর্তাদের ঢিলেমির কারণে নির্ধারিত সময়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। ২০১১ সালের আরও এক দফা পিছিয়ে যায় তিতাস ফিল্ডের দু’টি কূপ খনন কাজ। একাধিক বার কূপ খনন কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় দেশে গ্যাস সঙ্কট বাড়তেই থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ দু’টি কূপ খনন শেষে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ৬০/৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অন্তত ২ বছর পেরিয়ে যায় কূপগুলো উৎপাদন আসতে। এতে প্রকল্পটি ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৭ ও ১৮ নং কূপ খনন প্রকল্প পাস হয় ২০০৫ সালের জুলাই মাসে। ২০০৭ সালের জুন মাসে ডেভেলাপমেন্ট প্রোফাইল প্রজেক্ট অনুমোদন হয়। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবার পর কর্তৃপক্ষের কাছে তা প্রদান করার কথা। অথচ নির্ধারিত সময়ের ২০ মাস পর প্রকল্পের ড্রিলিং কাজ শুরু হয় শুক্রবার থেকে। তিতাস নদীর তীর ঘেঁষে শিমরাইল কান্দিতে এ কূপ খননের জন্য জমি অধিগ্রহণ, সীমানা প্রাচীর এবং ভূমি উন্নয়ন কাজসহ এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। খননকৃত ২টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৬০/৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হবে। প্রথম দফায় ১৭ ও পরে ১৮নং কূপ খনন হবে। সূত্র জানায়, এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এর প্রথম দফা কাজ শেষ হবে। তখন এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৩০/৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হবে। এরপর ১৮নং কূপ খনন কাজ শুরু হবে এবং মার্চ মাস নাগাদ খনন কাজ শেষ হবে। তারপর ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্টের আওতায় তিতাসের ৪টি ও বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের ৯নং কূপ খনন হবে। এসব কূপ খনন শেষ হলে প্রতিদিন ২শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হবে। বাংলাদেশ গ্যস ফিল্ডের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় গ্যাস গ্রিডে ২শ’ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বিজিএফসিএল’র প্ল্যানিং এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (প্রকল্প মনিটরিং প্রধান) মোস্তফা কামাল জানান, তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ৬টি ও বাখরাবাদের ১টি সহ ৭টি কূপ খনন শেষ হলে সারা দেশে গ্যাস সঙ্কট বহুলাংশে কমে যাবে। ১৭নং কূপ খননকালে পরিচালক অপারেশন আমজাদ হোসেন, বিজিএফসিএল’র এমডি শফিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, বিজিএফসিএল প্ল্যানিং এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (প্রকল্প মনিটরিং প্রধান) মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.